খড়্গপুর আইআইটিতে ফের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু। —প্রতীকী চিত্র।
খড়্গপুর আইআইটিতে ফের রহস্যমৃত্যু পড়ুয়ার। রবিবার রাতে হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হল মহারাষ্ট্রের বছর বাইশের যুবক অনিকেত ওয়ালকরের দেহ। তিনি ওশেন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড নাভাল আর্কিটেকচার বিভাগের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন। থাকতেন জগদীশচন্দ্র বসু হলের সি-২১৪ নম্বর ঘরে। রবিবার রাতে সেখান থেকেই উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। কী কারণে এই মৃত্যু, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক ভাবে এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করা হলেও সম্ভাব্য সব দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছিল দেহটি। দেহ উদ্ধারের পর রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য সেটি খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় ওই পড়ুয়ার অভিভাবকদেরও। ইতিমধ্যেই হস্টেলের ওই ঘরটি বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
প্রসঙ্গত, তিন মাস আগে গত ১২ জানুয়ারিও খড়্গপুর আইআইটিতে এক পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু হয়েছিল। মৃত পড়ুয়ার নাম ছিল শাওন মালিক (২১)। আইআইটি খড়্গপুরের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। হস্টেলের ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। এই ঘটনার দিন দুয়েক আগেই খড়্গপুর আইআইটি-র এক শিক্ষাকর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল।
গত বছর জুনে খড়্গপুর আইআইটির হলে দেবিকা পিল্লাই নামে কেরলের এক পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ২০২৩ সালের অক্টোবর ওই প্রতিষ্ঠানে তেলঙ্গানার এক পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু হয়েছিল। কে কিরণ চন্দ্র ছিলেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। হস্টেল থেকে নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। ২০২২-এর অক্টোবরে খড়্গপুর আইআইটিতেই অসমের বাসিন্দা ফাইজ়ান আহমেদ নামে এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর দেহও উদ্ধার করা হয়েছিল আইআইটির হস্টেলের একটি ঘর থেকে।