‘দেশের উন্নতি’র জন্য প্রার্থনায় বসলেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ফাইল চিত্র।
লক্ষ্য দেশের সার্বিক উন্নয়ন। তাই বুধবার সারা দেশ যখন হোলি খেলছে, সে সময় রঙের উৎসবে মাতোয়ারা না হয়ে নিভৃতে পূজার্চ্চনা শুরু করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। সারা দিনব্যাপী পুজোয় বসার আগে বুধবার সকালেই রাজঘাটে গিয়ে গান্ধীস্মারকে মাল্যদান করেন আপের প্রধান। কী কারণে এই পুজো, তার ব্যাখ্যা অবশ্য মঙ্গলবারই দিয়েছিলেন কেজরী।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানান, দেশের ‘সার্বিক উন্নতি’র জন্যই তিনি ধ্যানে বসতে চান। ধ্যান এবং পুজোর জন্য হোলির ‘পুণ্যলগ্ন’কেই বেছে নিয়েছিলেন তিনি। কেজরীওয়ালের দাবি, দেশে যাঁরা ভাল কাজ করছেন, তাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। অন্য দিকে যাঁরা দেশকে লুট করছেন, তাঁদের কোনও সাজা হচ্ছে না। এই কারণেই দেশের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে দিল্লির প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন এবং উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়ার গ্রেফতারির প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন কেজরীবাল। তাঁর মতে, ৬৫ বছর ধরে উপেক্ষিত শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য দফতরের ভোল বদলে দিয়েছিলেন সত্যেন্দ্র এবং মণীশ। তাঁদের গ্রেফতারিকে দেশেরই সার্বিক ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করছেন আপ প্রধান। একই সঙ্গে অন্যেরাও যে তাঁর মতো ধ্যানে বসতে পারেন, তা-ও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “যদি আপনি মনে করেন প্রধানমন্ত্রী সঠিক কাজ করছেন না, তবে আপনিও হোলির পরে আমার মতো ধ্যানে বসতে পারেন।” আপ সূত্রে থবর, সকাল ১০টা থেকে ধ্যানে বসা কেজরীর ধ্যান এবং পুজো শেষ হতে পারে বিকেল ৫টা নাগাদ।