Mahua Moitra

ঘুরিয়ে কি ফিরছে নির্বাচনী বন্ড: মহুয়া

গত বছর সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করে। তা সত্ত্বেও কেন নতুন আয়কর আইনে নির্বাচনী বন্ডের বিভিন্ন ধারার উল্লেখ রয়েছে, আজ জানতে চেয়েছেন মহুয়া।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫ ০৮:০৮
মহুয়া মৈত্র।

মহুয়া মৈত্র। —ফাইল চিত্র।

সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিলেও পিছনের দরজা দিয়ে নির্বাচনী বন্ড ফিরিয়ে আনা হচ্ছে কি? আজ লোকসভায় অর্থবিল নিয়ে আলোচনায় প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা সত্ত্বেও কমিশনের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মহুয়ার অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের ভার কার্যত সরকার নিয়ে নেওয়ায় কমিশন তার দায়িত্ব ভুলে গিয়েছে।

Advertisement

গত বছর সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করে। তা সত্ত্বেও কেন নতুন আয়কর আইনে নির্বাচনী বন্ডের বিভিন্ন ধারার উল্লেখ রয়েছে, আজ জানতে চেয়েছেন মহুয়া। অর্থবিল নিয়ে আলোচনায় মহুয়ার প্রশ্ন, ‘‘এটা ভুল, না কি এর মাধ্যমে পিছনের দরজা দিয়ে রাজনৈতিক দলকে অর্থ পাইয়ে দেওয়ার রাস্তা করে দেওয়া হয়েছে?’’ নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কী ভাবে বিজেপি বিভিন্ন সংস্থার থেকে অর্থ পেয়েছে, তা পরিসংখ্যান দিয়ে তুলে ধরেন মহুয়া। বলেন, ‘‘ক্ষতিতে চলা সংস্থাগুলি ৪৩৪ কোটি টাকা দিয়েছে বিজেপিকে। বিভিন্ন কারণে তদন্তের আওতায় থাকা ৪১টি সংস্থার মোট দেয় অর্থের পরিমাণ প্রায় আড়াই হাজার কোটি।’’ কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ (সিবিডিটি) যাতে ইডি ও সিবিআইয়ের মতো টাকা তোলার সংস্থায় পরিণত না হয়, তার জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানান তিনি।

চলতি বাজেটে সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন পরিচালনা করার খাতে ৬০০ কোটি, ভোটার তালিকা তৈরির জন্য ৩০০ কোটি টাকা এবং ইভিএম খাতে ১৯ কোটি টাকা নির্বাচন কমিশনকে বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে নির্বাচন কমিশন যে ভাবে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ‘ব্যর্থ’ হচ্ছে, তাতে সরকারের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বলে সরব হন মহুয়া। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন ইভিএমে পড়া ভোট ও স্লিপ মিলিয়ে দেখার ব্যাপারে একশো শতাংশ ভিভিপ্যাট যন্ত্র বসাতে অস্বীকার করে চলেছে। প্রতিটি বুথে কত ভোট পড়েছে সেই ১৭সি ফর্ম প্রকাশ্যে আনতে তারা রাজি নয়। কেন মুর্শিদাবাদ ও গুজরাতের ভোটারের এপিক নম্বর একই, তার ব্যাখ্যা নেই কমিশনের কাছে। ফলে কমিশনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।’’

গত লোকসভায় ঝাড়খণ্ডের গোড্ডার সাংসদ বিজেপির নিশিকান্ত দুবের তোলা অভিযোগের জেরে সাংসদ পদ খুইয়েছিলেন মহুয়া। আজ নিজের বক্তব্যে সেই নিশিকান্তের লোকসভা কেন্দ্রে তৈরি একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ‘বিশেষ সরকারি ছাড়’ নিয়ে সরব হন তিনি। মহুয়া অভিযোগ করেন, ‘‘২০১৬ সালে বলা হয়েছিল, স্পেশাল ইকনমিক জ়োনে কেবল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হতে পারবে না। কিন্তু এই সরকারের এক ‘বিশেষ বন্ধু শ্রী এ’-র জন্য সেই ছাড় দেওয়া হয়। তার কাছ থেকে বিদেশ থেকে কয়লা আনার ক্ষেত্রে কোনও আমদানি শুল্ক নেওয়া হয়নি। কয়লার উপরে যে সেস বসানো হয়, তাতেও ছাড় মেলে। এমনকি প্রতিটি সংস্থার ক্ষেত্রে দেশে বিদ্যুৎ বিক্রির যে শর্ত থাকে, তা থেকেও ছাড় দেওয়া হয় ‘শ্রী এ’-র সংস্থাকে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন