INS Vikrant

নিমেষে ধ্বংস হবে শত্রুর ডুবোজাহাজ! ভারতীয় নৌসেনার প্রথম সফল রোমিও-পরীক্ষা বিক্রান্তে

গত সপ্তাহেই রাতে অন্ধকারে প্রথম বার আইএনএস বিক্রান্তে সফল ভাবে অবতরণের পরীক্ষা হয়েছিল মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমানের। এ বার নামল রোমিও।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৩ ২১:২৬
Anti-Submarine chopper MH-60 Romeo of Indian Navy lands for first Time on INS Vikrant

আইএনএস বিক্রান্তের ডেকে নামছে ভারতীয় নৌসেনার নতুন হেলিকপ্টার এমএইচ-৬০ রোমিও। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

দ্রুত চিহ্নিত করতে পারে গভীর সমুদ্রে লুকিয়ে থাকা শত্রুপক্ষের ডুবোজাহাজ। এর পর নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হেনে তাকে নিকেশও করতে দড় ভারতীয় নৌসেনার নতুন হেলিকপ্টার এমএইচ-৬০ রোমিও। এ বার আমেরিকার লকহিড মার্টিন সংস্থার তৈরি সেই ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী কপ্টার ব্যবহার করবে ভারতীয় নৌবাহিনীর বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্ত। বুধবার হল তারই প্রথম পরীক্ষা।

গত সপ্তাহেই রাতে অন্ধকারে প্রথম বার আইএনএস বিক্রান্তে সফল ভাবে অবতরণের পরীক্ষা হয়েছিল মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমানের। তার পর রোমিওর এই সফল অবতরণ বিক্রান্তের যুদ্ধ ক্ষমতাকে নতুন মাত্রা দিল বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর। ব্রিটেনে তৈরি পুরনো সি কিং হেলিকপ্টারের পরিবর্তে রোমিও কেনার বিষয়ে প্রায় এক দশক আগে উদ্যোগী হয়েছিল ভারতীয় নৌসেনা। শেষ পর্যন্ত ২৪টি কপ্টার কেনার চুক্তি হয়। ইতিমধ্যেই ২টি এমএইচ-৬০ রোমিও আর পেয়েছে নৌসেনা। সেগুলি ব্যবহার করবে বিক্রান্ত।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি ৫ হাজার টনের আইএনএস বিক্রান্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই রণতরী নির্মাণের কাজ চলেছে। ২০২১ সালের অগস্টে ‘সি ট্রায়াল’ শুরু করা হয়েছিল। প্রায় এক বছর ধরে এই ‘ট্রায়াল’ প্রক্রিয়া চলে। এর পর গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আনুষ্ঠানিক ভাবে জলে ভাসিয়েছিলেন ২৬২ মিটার দীর্ঘ, ৬২ মিটার চওড়া এবং ৫৯ মিটার উঁচু এই যুদ্ধজাহাজটিকে।

আরও পড়ুন
Advertisement