CBI against AAP leader

কেজরীর পর আপের আরও এক নেতার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল অমিত শাহের মন্ত্রক

আপের ওই নেতা দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রীও। এ বছরের শুরুতেই তোলাবাজির মামলায় দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত শুরু করার সুপারিশ করেছিলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪ ২১:০৫
অরবিন্দ কেজরীওয়াল (বাঁ দিকে), অমিত শাহ (ডান দিকে)।

অরবিন্দ কেজরীওয়াল (বাঁ দিকে), অমিত শাহ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

দিল্লির আম আদমি পার্টি (আপ) সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী দু’জনেই বন্দি। এ বার আপের আরও এক নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের অনুমতি দিল কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

Advertisement

আপের ওই প্রাক্তন মন্ত্রী অবশ্য ইতিমধ্যেই জেলে। তাঁর বিরুদ্ধে জেলে বসেই তোলাবাজির চক্র চালানোর অভিযোগ ছিল। এমনকি, বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ়ের প্রেমিক সাজা প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের থেকেও ১০ কোটি টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল আপের ওই নেতার বিরুদ্ধে। শুক্রবার সেই সংক্রান্ত মামলাতেই তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত শুরু করার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রক।

আপের ওই নেতার নাম সত্যেন্দ্র জৈন। এ বছরের শুরুতেই তোলাবাজির মামলায় দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত শুরু করার সুপারিশ করেছিলেন। সিবিআই গত নভেম্বরে জানিয়েছিল, জেলে শান্তিপূর্ণ ভাবে থাকতে দেওয়ার শর্তে সত্যেন্দ্র ১০ কোটি টাকা তোলা আদায় করেছিল সুকেশের থেকে!

সত্যেন্দ্রের বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছিলেন সুকেশই। তিনি বলেছিলেন, তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে কখনও নিজে কখনও বা শাগরেদদের দিয়ে এ ভাবেই টাকা নিয়েছেন সত্যেন্দ্র। বদলে তাঁকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল, দিল্লির যত জেল আছে, তিহাড়, রোহিণী বা মান্ডোলি যেখানেই যান তাঁর শান্তি এবং স্বস্তির কোনও অভাব হবে না।

সম্প্রতিই এই সুকেশই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের গ্রেফতারির পর বলেছিলেন, আরও অনেক গোপন কথা ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসবে। সত্যেন্দ্রের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়া কি তারই ইঙ্গিত?

গত ২০২২ সালের মে মাসে গ্রেফতার করা হয় সত্যেন্দ্রকে। অভিযোগ ছিল, তিনি দিল্লির তিহাড় জেলে বসে তিহাড়ের ডিজি সন্দীপ গয়ালের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একটি হাই প্রোফাইল তোলাবাজি চক্র চালাচ্ছিলেন। এই অভিযোগ কতটা সত্যি, এর নেপথ্যে আরও বড় কোনও চক্র আছে কি না সেটাই তদন্ত করে দেখবে সিবিআই।

আরও পড়ুন
Advertisement