Nitish Kumar

জোটবদলের জল্পনার মধ্যেই পটনার রাজভবনে নীতীশ, তবে নতুন সরকার গড়ার দাবি জানাতে নয়

পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি নিয়ে নাম না করে লালুকে খোঁচা দেওয়ার ঘটনার পরে জাতীয় রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছেন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের ‘ইন্ডিয়া’ ছাড়া সময়ের অপেক্ষা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:৪৪
পটনার রাজভবনে নীতীশ কুমার।

পটনার রাজভবনে নীতীশ কুমার। ছবি: পিটিআই।

রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, আগামী রবিবার (২৮ জানুয়ারি) জোটবদলে আবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন তিনি। এই আবহেই শুক্রবার বিকেলে পটনার রাজভবনে হাজির হলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। তবে বিজেপির সঙ্গী হিসাবে নতুন সরকার গড়ার দাবি জানাতে নয়। রাজ্যপাল রাজেন্দ্র অরলেকরের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রথা মেনে রাজভবনে আয়োজিত বৈকালিক চা পানের আসরে যোগ দিতে।

Advertisement

যদিও গোয়ার প্রাক্তন বিজেপি নেতা রাজেন্দ্র সঙ্গে নীতীশের সাক্ষাতের রাজনীতির প্রসঙ্গ পরোপুরি উহ্য থেকে যাবে বলে মনে করছে না ‘মহাগঠবন্ধন’ শিবির। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিহারের বিজেপি বিরোধী জোট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের পুত্র তেজস্বী যাদব আমন্ত্রিত হলেও শুক্রবার বিকেলে রাজভবনে যাননি। এই পরিস্থিতিতে নীতীশের জোটবদলের সম্ভাবনা ঘিরে কানাঘুষো আরও বেড়েছে।

বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সঙ্গে বিগত কিছু দিন ধরেই দূরত্ব বাড়ছিল নীতীশের। বিশেষ করে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে যে ভাবে তাঁকে গুরুত্বহীন করে রাখা হয়েছিল, তা মোটেই ভাল ভাবে নেননি তিনি। সূত্রের মতে, নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখতে নীতীশ তলে তলে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। জেডিইউ নেতৃত্বের একাংশও দীর্ঘ দিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছিল নীতীশের উপরে।

যদিও বিহার বিজেপি নেতৃত্বের বড় অংশই নীতীশের বিরোধী। অতীতে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র কারণে তাঁকে এনডিএ-তে নেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সম্রাট চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহেরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা লোকসভা ভোটের কথা ভেবে নীতীশকে আবার এনডিএ-তে ফেরাতে পারেন বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement