Manipur Violence

মণিপুরে নতুন করে হিংসার নেপথ্যে শাহের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করা মেইতেই সংগঠন? উঠছে প্রশ্ন

নভেম্বরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উদ্যোগে মেইতেই প্রভাবিত সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট’ (ইউএনএলএফ) শান্তি চুক্তি করেছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
ইম্ফল শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:০৯
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। — ফাইল চিত্র।

নভেম্বরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উদ্যোগে মেইতেই প্রভাবিত সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট’ (ইউএনএলএফ) শান্তি চুক্তি করার পরেই সংশয় প্রকাশ করেছিল কুকি-জ়ো জনজাতিদের কয়েকটি সংগঠন। চূড়াচাঁদপুর-সহ কয়েকটি জেলায় সশস্ত্র মেইতেই বাহিনীর হামলায় নতুন করে রক্ত ঝরায় পরে সেই সংশয় সত্য প্রমাণিত হল বলে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

ষাটের দশকে স্বাধীন এবং সার্বভৌম মেইতেই রাষ্ট্রের দাবিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইউএনএলএফ। বর্তমানে সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন মণিপুরি রাজবংশের সন্তান আরকে মেঘেন ওরফে সানা ইয়াইমা এবং একদা জনপ্রিয় মণিপুরি গায়ক তথা সংগীতকার নংমৈথেন পাহাড়ি। কট্টরপন্থী ওই গোষ্ঠীকে মণিপুরের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের সরকার কুকিদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে বলে অভিযোগ উঠছিল আগেই।

অভিযোগ, গত এক মাসে কিছুটা স্তিমিত হয়ে আসা হিংসা নুতন করে মাথাচাড়া দিয়েছে ইউএনএলএফ-সহ কয়েকটি মেইতেই গোষ্ঠীর ‘সৌজন্যে’। এরই মধ্যে মণিপুরের হিংসায় প্রাণ হারানো কুকি-জো জনজাতি গোষ্ঠীর ৮৭ জনকে গণকবর দেওয়া হল। তাদের মধ্যে রয়েছে এক মাসের একটি শিশুও। কয়েক মাস আগে হিংসায় তাঁদের মৃত্যু হলেও এত দিন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের মর্গে দেহগুলি রাখা ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement