Allahabad High Court

‘ফেসবুক, হোয়াট্‌সঅ্যাপে ডিপি করবেন না ওঁর ছবি’, ধর্ষণে অভিযুক্তকে জামিন দিয়ে শর্ত আদালতের

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এবং তাদের গোপন মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিয়ো দিয়ে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ নিয়ে প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ২০ বছরের এক তরুণী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
ইলাহাবাদ শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৪১
ইলাহাবাদ হাই কোর্ট।

ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

‘‘জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সমাজমাধ্যমে আবার অভিযোগকারিণীর ছবি দেবেন না। ওঁর ছবি দিয়ে ফেসবুক, হোয়াট্‌সঅ্যাপের প্রোফাইল পিকচার বা ডিপি বদল করবেন না।’’ ধর্ষণে অভিযুক্ত এক যুবকের জামিন মঞ্জুর করে তাঁকে এমনই নির্দেশ দিল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট।

Advertisement

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এবং তাদের গোপন মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিয়ো দিয়ে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ নিয়ে প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ২০ বছরের এক তরুণী। ধর্ষণ, ভয় দেখানো-সহ নানা অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্য দিকে, মিথ্যে অভিযোগে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে পাল্টা মামলা করেছিলেন ওই ধৃত যুবক। সম্প্রতি সেই মামলার শুনানি হয় ইলাহাবাদ হাই কোর্টে। আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করলেও বেশ কয়েকটি শর্ত দেয়। সেগুলোর অন্যথা হলে জামিন খারিজ হয়ে যাবে বলে জানান বিচারপতি মহম্মদ ফৈয়জ আলম খান। নির্দেশে বিচারপতি বলেন, ‘‘জামিন মঞ্জুর হয়েছে। তবে অভিযোগকারিণীর কোনও ছবি দিয়ে যদি হোয়াট্‌সঅ্যাপ বা ফেসবুকে ডিপি করেন, সেটাই জামিন নাকচ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট।’’

পাশাপাশি, মুক্তির পর যেন কোনও ভাবেই অভিযোগকারিণীর সঙ্গে অভিযুক্ত যোগাযোগ করতে না পারেন বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অভিযোগকারিণীর কোনও আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারবেন না ওই যুবক। শারীরিক ভাবে অথবা অনলাইনে তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা বলার কোনও চেষ্টা করলে জামিন খারিজ হয়ে যাবে বলে জানান বিচারপতি।

২০ বছরের ওই অভিযোগকারিণী আদালতে জানিয়েছিলেন তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতেন অভিযুক্ত। আদালতে অভিযুক্তের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল এবং অভিযোগকারিণী দু’জনেই পূর্ব পরিচিত। ২০১৯ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় তাঁরা সম্পর্কে ছিলেন। তার পরে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৫ জুলাই থেকে জেলে রয়েছেন তাঁর মক্কেল। অন্য দিকে, অভিযোগকারিণীর আইনজীবী সওয়াল করেন, অভিযুক্ত ঘৃণ্য অপরাধ করেছেন। তিনি শুধু বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেননি। পরে তাঁর মক্কেলকে ভয়ও দেখিয়েছেন। শারীরিক এবং মানসিক ভাবে দিনের পর দিন হেনস্থা করেছেন। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া যাবে না।

শেষ পর্যন্ত অবশ্য অভিযুক্ত জামিন পান। আদালতের পর্যবেক্ষণ, যে হেতু ওই যুবকের অপরাধের কোনও ইতিহাস নেই, তাঁকে একটি সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন
Advertisement