(বাঁ দিকে) মোহন ভাগবত। অরবিন্দ কেজরীওয়াল (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।
দিল্লির বিধানসভা ভোটের আগে এ বার ‘পত্রযুদ্ধ’ আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং বিজেপির। উপলক্ষ, টাকা বিলির অভিযোগ।
বুধবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর প্রধান (সরসঙ্ঘচালক) মোহন ভাগবতকে চিঠি লিখে কেজরী অভিযোগ করেছেন, দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটারদের একাংশের মধ্যে টাকা বিলি করছে বিজেপি। দিল্লির বিজেপি সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব পাল্টা খোলা চিঠি লিখে কেজরীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন।
সরসঙ্ঘচালক ভাগবতের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে কেজরী জানতে চেয়েছেন, দিল্লিতে বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির টাকা বিলির মতো অনৈতিক কাজকে আরএসএস সমর্থন করে কি না। পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিল্লিতে পূর্বাঞ্চলীয় (মূলত বিহার এবং পূর্ব উত্তরপ্রদেশের মানুষ) এবং দলিত ভোটারদের একাংশের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার যে কর্মসূচি বিজেপি নিয়েছে আরএসএস তাকে সমর্থন করে কি না।
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে ফেব্রুয়ারি মাসে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা থাকলেও এখনও নির্বাচন কমিশন দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি। আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটার তালিকা সংশোধন, পরিমার্জনের কাজ চলবে সেখানে। তার পরেই ঘোষণা করা হবে ভোটের নির্ঘণ্ট। আপের অভিযোগ, বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে পূর্বাঞ্চলীয়, সংখ্যালঘু-সহ কিছু জনগোষ্ঠীকে বেছে নিয়ে ভোটার তালিকা থেকে নাম ছেঁটে দিচ্ছে কমিশন। দিল্লি বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, কেজরী এবং তাঁর দল ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের নাম ঢোকাতে সক্রিয়!
দিল্লির বিধানসভা কেজরীর দল ইতিমধ্যেই দিল্লির ৭০টি আসনের সবগুলিতে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে প্রায় এক-চতুর্থাংশ কংগ্রেস বা বিজেপি ছেড়ে আসা নেতা। কেজরীওয়াল লড়ছেন নয়াদিল্লি আসনে। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দিল্লির ৭০টি আসনের মধ্যে ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছিল আপ। বিজেপি পেয়েছিল আটটি আসন। আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত কেজরী সাড়ে ন’বছর মুখ্যমন্ত্রিত্ব সামলানোর পরে গত সেপ্টেম্বরে ইস্তফা দেন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন আতিশী মার্লেনা। আতিশী কালকাজী আসনে এ বারও লড়ছেন।