Robbery Case

‘কিছু কাজ কর’, বাবার ‘ভর্ৎসনা’য় মনমরা যুবক ফাঁদলেন ব্যাঙ্ক ডাকাতির ছক, ঠাঁই সোজা শ্রীঘরে

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক ডাকাতির জন্য পিস্তল, ছুরি এবং সার্জিক্যাল ব্লেড জোগাড় করেন। তা নিয়ে যান ব্যাঙ্কে। কিন্তু ব্যাঙ্ককর্মীদের তৎপরতায় ধরা পড়লেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:০১
After watching the video on YouTube, BSc student reached Kanpur to rob

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

সব বাবা-মা চান, তাঁদের সন্তান বড় হয়ে রোজগার করতে সক্ষম হোক! উত্তরপ্রদেশের কানপুরের বাসিন্দা অবধেশ মিশ্রও একই আশা করেছিলেন। দিনরাত পুত্রকে রোজগারের কথা শোনাতেন। লাভিশের বাবার ‘ভর্ৎসনা’য়মন খারাপ হয়। শুরু করেন রোজগারের সন্ধান। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও কোনও ফল না হওয়ায় শেষে ব্যাঙ্ক ডাকাতির ছক কষেন লাভিশ। কী ভাবে একা ব্যাঙ্ক লুট করা যায়, ইউটিউবে সেই ভিডিয়ো দেখে পরিকল্পনা করেন তিনি। কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের তৎপরতায় ধরা পড়েন লাভিশ।

Advertisement

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, লাভিশ ব্যাঙ্ক ডাকাতির জন্য পিস্তল, ছুরি এবং সার্জিক্যাল ব্লেড জোগাড় করেন। তার পর একটি সাইকেলে চেপে ব্যাঙ্কে যান। হাতে পিস্তল, ছুরি নিয়ে ব্যাঙ্কে প্রবেশের চেষ্টা করেন লাভিশ। নিরাপত্তারক্ষী তাঁকে আটকালে ছুরি আঘাত করে ব্যাঙ্কের ভিতর ঢুকে পড়েন।

ব্যাঙ্কে প্রবেশ করেই হম্বিতম্বি শুরু করেন লাভিশ। পিস্তল এবং ছুরি দেখিয়ে ভয় দেখানোরও চেষ্টা করেন। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার-সহ অন্যান্য কর্মীরা তাঁকে ধরতে গেলে, তাঁদের উপর হামলা করেন লাভিশ। শেষে অনেক চেষ্টায় লাভিশকে বাগে আনতে সমর্থ হন ব্যাঙ্ককর্মীরা। তাঁকে ধরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন তাঁরা। ঘটনায় আহত হন অভিযুক্ত যুবকও।

পুলিশ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তাঁর মোবাইল ঘেঁটে পরিকল্পনার কথা জানতে পারে। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, লাভিশ বিএসএসি করছিলেন। তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তবে দ্রুত অর্থ উপার্জনের তাড়নায় ব্যাঙ্ক ডাকাতির ফন্দি আঁটেন। অভিযুক্তের দাদা দিল্লিতে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন। বাবা পেশায় কৃষক। পরিবার আর্থিক ভাবে সচ্ছল না হওয়ায় প্রায়ই লাভিশকে কিছু কাজ করার কথা বলতেন অবধেশ। আর তাতেই ব্যাঙ্ক ডাকাতির চেষ্টা এবং তার ফলে শ্রীঘরে ঠাঁই হল বছর বাইশের যুবকের।

Advertisement
আরও পড়ুন