বাঁ দিক থেকে, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পা। — ফাইল চিত্র।
ভোটগ্রহণ চলাকালীনই এক বিজেপি বিধায়কের কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোটদানের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। শেষ পর্যন্ত বিরোধী বিজেপি-জেডিএস জোটকে হারিয়ে রাজ্যসভা ভোটে কর্নাটকের তিনটি আসন দখল করল সে রাজ্যের শাসকদল কংগ্রেস। বিরোধী জোটের দখলে গিয়েছে একটি।
কর্নাটকে পরিষদীয় পাটিগণিত অনুযায়ী চারটি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের তিনটি এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপির একটিতে জেতার কথা ছিল। কিন্তু আর এক বিরোধী দল জেডিএসের সঙ্গে জোট বেঁধে দু’টি আসনে লড়তে নেমেছিল পদ্মশিবির। কিন্তু সেখানে ‘ক্রস ভোটিং’ বুমেরাং হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দলের। কংগ্রেসের প্রার্থীকে ভোট দেন প্রভাবশালী বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী এসটি সোমশেখর গৌড়া।
প্রসঙ্গত, কর্নাটক বিধানসভার আসন সংখ্যা ২২৪। এর মধ্যে একটি আসন খালি। কংগ্রেসের ১৩৪, বিজেপির ৬৬, জেডিএসের ১৯ জন বিধায়ক রয়েছেন। সর্বোদয় কর্নাটক পক্ষের ১, কল্যাণ রাজ্য প্রগতি পক্ষের ১ এবং ২ নির্দল বিধায়ক রয়েছেন কংগ্রেসের পক্ষে।
আগামী এপ্রিলে ১৫টি রাজ্যের ৫৬ জন রাজ্যসভার সদস্য অবসর নিতে চলেছেন। পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ, উত্তরপ্রদেশের ১০, অন্ধ্রপ্রদেশের তিন, বিহারের ছয়, ছত্তীসগঢ়ের এক, গুজরাতের চার, রাজস্থানের তিন, হরিয়ানার এক, হিমাচল প্রদেশের এক, কর্নাটকের চার, মধ্যপ্রদেশের পাঁচ, মহারাষ্ট্রের ছয়, তেলঙ্গানার তিন, উত্তরাখণ্ডের এক এবং ওড়িশা থেকে তিন জন নির্বাচিত হওয়ার কথা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১৩টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪১ আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের বিধায়ক সংখ্যার অনুপাতে প্রার্থী দেওয়ার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই ভোটপর্ব মিটে যায়। মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ হয় উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং হিমাচলের মোট ১৫টি আসনে।
ঘটনাচক্রে, ক্রস ভোটিং হয়েছে তিন রাজ্যেই। হিমাচলের অন্তত ছ’জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেন বলে খবর মেলে ভোটগ্রহণ চলাকালীনই। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু স্বয়ং ‘ক্রস ভোটিং’-এর কথা স্বীকার করে নেন। উত্তরপ্রদেশে প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র পাঁচ বিধায়ক বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার পরে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে।