নয়াদিল্লির আফগান দূতাবাস। ছবি: পিটিআই।
মাসদু’য়েক আগেই ‘বার্তা’ দেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর করলেন নয়াদিল্লির আফগান দূতাবাস কর্তৃপক্ষ। দূতাবাস কর্তৃপক্ষের তরফে শুক্রবার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ভারত সরকারের ধারাবাহিক অসহযোগিতার কারণে ২৩ নভেম্বর থেকে দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে দূতাবাসের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ করার পরে এ বার এই পদক্ষেপ করা হল। আশা করছি, এর ফলে দূতাবাসকে স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত সরকারের অবস্থানের ইতিবাচক পরিবর্তন হবে।’’
গত ৩০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে আফগানিস্তানের দূতাবাসের কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। শুধু আফগান নাগরিকদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেওয়া সংক্রান্ত ‘কনসুলার সার্ভিস’ সাময়িক ভাবে চালু রেখেছিলেন দূতাবাস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে তা-ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের অগস্টে আফগানিস্তানে ক্ষমতার পালাবদলের পরে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি না দিলেও সে দেশে মানবিক, বাণিজ্যিক এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত সাহায্য চালু রাখার জন্য কাবুলে ভারতীয় দূতাবাস বন্ধ করেনি দিল্লি। পদচ্যুত আশরফ ঘানি সরকারের নিযুক্ত কূটনীতিকদের দিল্লির আফগান দূতাবাস থেকে কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
সূত্রের খবর, মূলত আফগান কূটনীতিকদের ভিসা পুনর্নবীকরণ-সহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের তরফ থেকে ‘প্রত্যাশিত সাহায্য’ না মেলার কারণেই এই পদক্ষেপ। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে অবশ্য ‘অসহযোগিতার’ অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে। বরং আফগান দূতাবাসের কর্তারাই একে একে ভারত ছেড়ে অন্যান্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন বলে বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন। পাশাপাশি, গত দু’বছরে একাধিক বার দূতাবাসের অন্দরে তালিবান সমর্থক এবং বিরোধী কর্মীদের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি ঘটেছে বলেও তাঁর দাবি। দিল্লির দূতাবাস বন্ধ হলেও মুম্বই এবং হায়দরাবাদের আফগান কনস্যুলেটের কী ‘পরিণতি’ হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। গত অক্টোবরে ওই দুই কনস্যুলেট কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল।