বেঙ্গালুরুর ইয়ালেহাঙ্কা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ‘অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২৩’-এ প্রচণ্ড হেলিকপ্টার। ছবি: পিটিআই।
পাঁচ দশকের পুরনো চিতা এবং চেতক হেলিকপ্টারের পরিবর্ত পেতে চলেছে কয়েক বছর আগেই সক্রিয় হয়েছিল ভারতীয় সেনা এবং বায়ুসেনা। সেই চাহিদার মাপকাঠি মেনে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল) তৈরি করেছে নয়া হাল্কা হেলিকপ্টার (লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টার বা এলইউএইচ)। সোমবার বেঙ্গালুরুর ইয়ালেহাঙ্কা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ‘অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২৩’ কর্মসূচিতে দেখা গেল সেই নয়া কপ্টারকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’ স্লোগান অনুসরণ করে এ বার ১৪তম অ্যারো ইন্ডিয়া কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছে একগুচ্ছ দেশে আকাশযান। সেই তালিকায় ছিল হ্যালের তৈরি হাল্কা যুদ্ধবিমান তেজসের নয়া সংস্করণও।
হ্যাল-এর তৈরি হাল্কা যুদ্ধ হেলিকপ্টার (অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার বা এএলএইচ) ‘ধ্রুব’ গত দু’দশক ধরে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখা (স্থল, বায়ু এবং নৌসেনা) ব্যবহার করে। ধ্রুবর আধুনিকিকরণ ঘটিয়ে কয়েক বছর আগেই এলসিএইচ (লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার) ‘প্রচণ্ড’ তৈরি করেছিল হ্যাল। সোমবার তা দেখেছে বেঙ্গালুরু।
লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা ফৌজের সঙ্গে সঙ্ঘাতের পরে হ্যাল-এর তৈরি কয়েকটি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (এলসিএইচ) মোতায়েন করে ভারতীয় সেনা। কিন্তু কপ্টারগুলির কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। ৭০ মিলিমিটার রকেট ব্যবহারে সক্ষম হলেও সেগুলি আকাশ যুদ্ধের উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে না। সেগুলি উন্নতকরণের কাজ চলছে।
ধ্রুবর আর এক নতুন সংস্করণ ‘রুদ্র’ লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (এলসিএইচ)-ও সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে প্রদর্শিত হয়েছে ‘অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২৩’-এ। সেখানে হাজির ছিলেন আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ ৯৮টি দেশের প্রতিনিধিরা।
প্রসঙ্গত, এ বারের অ্যারো ইন্ডিয়ার থিম ‘কোটি কোটি সম্ভাবনার রানওয়ে’। এই প্রদর্শনীমূলক অনু্ঠানে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে প্রায় ২৫১টি মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।