Manipur Violence

এখনও অশান্ত মণিপুর! মায়ানমার সীমান্ত ঘেঁষে আকাশপথে নজরদারি চালাবে সেনা, নামবে ড্রোন

রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে নজরদারি চালাতে মানববিহীন ড্রোন নামানোরও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ইম্ফল, চূড়াচাঁদপুর-সহ উপদ্রুত অঞ্চলের অলিগলিতে টহলদারি চালাচ্ছে সেনা।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ইম্ফল শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২৩ ১১:৫৩
Aerial surveillance to begin along Indo-Myanmar border amid violence in Manipur

এখনও অশান্ত মণিপুর! ছবি: রয়টার্স।

মণিপুরের হিংসার ঘটনায় এখনও লাগাম পরানো যায়নি। এই অবস্থায় নতুন করে অশান্তির ঘটনা এড়াতে সে রাজ্যে আকাশপথে নজরদারির পরিকল্পনা করছে সেনা। রাজ্যের হিংসাপ্রবণ এবং‌ স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে নজরদারি চালাতে মানববিহীন ড্রোন নামানোরও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ইম্ফল, চূড়াচাঁদপুর-সহ উপদ্রুত অঞ্চলের অলিগলিতে টহলদারি চালিয়ে যাচ্ছেন আধা সেনা এবং অসম রাইফেলসের আধিকারিকরা। রবিবার সেনার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, মণিপুরে এখনও পর্যন্ত ২৩ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে তাদের নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়েছে।

সেনার একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, মণিপুরের উপত্যকা অঞ্চলে বসবাস করা কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠী উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে শান্তিপ্রতিষ্ঠার কাজে প্রধান অন্তরায়। তাই তাদের গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো প্রয়োজন। মণিপুরের উপত্যকা অঞ্চলগুলি পাহাড় দিয়ে ঘেরা থাকায় সেখানে স্থলপথে নজরদারি চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সেনার ওই সূত্রটি। তা ছাড়া রাজ্য লাগোয়া মায়ানমার সীমাম্ত দিয়েও যাতে অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে চাইছে সেনা।

Advertisement

অন্য দিকে, রবিবার সকালে মণিপুরের চূড়াচাঁদপুরে তিন ঘণ্টার জন্য কার্ফু তুলেছে সরকার। রবিবার সকালে এই তিন ঘণ্টা সাধারণ মানুষ বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার সুযোগ দেওয়ার জন্য সাময়িক ভাবে এই কার্ফু তুলে নেওয়া হয়েছে। মণিপুর হিংসার জেরে এখনও পর্যন্ত ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার থেকে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে অশান্তি চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কোথাও কোথাও কার্ফু জারি করেছে সরকার। রাজ্যের একাংশে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও।

বুধবার রাতে এই চূড়াচাঁদপুরেই হিংসার সূত্রপাত। রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায় তফসিলি জনজাতি (এসটি) তকমার দাবিতে আন্দোলন করছে। তাদের দাবির বিরোধিতা করে মণিপুরি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর তরফে বুধবার একটি মিছিল বার করা হয়েছিল। সেখান থেকেই সংঘাতের সূচনা। যা ক্রমে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এক সময় পরিস্থিতি প্রশাসনের হাতের বাইরে চলে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুলিশ চেষ্টা করেও হিংসা থামাতে পারেনি। ইম্ফলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বহু মানুষ ভিটেমাটি ছেড়ে প্রাণের ভয়ে মণিপুর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement