নয়ডার পর বন্ধ করা হল দিল্লির স্কুলগুলিও। ফাইল চিত্র।
আরও খারাপ হয়েছে দিল্লির বাতাস। দূষণের জেরে বাতাসের গুণমান একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। শুক্রবারের সকালের হিসাব অনুযায়ী, দেশের রাজধানীর বাতাসের গুণমান সূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) ছিল ৪৫৩। যার অর্থ দিল্লির বাতাসের অবস্থা ‘ভয়াবহ’। সেই বাতাস শ্বাস নেওয়ার জন্যও উপযোগী নয়। আর এই পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে দিল্লির প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার দিল্লি-এনসিআর-এ বায়ুর গুণমান খারাপ হওয়ার প্রেক্ষিতে চার স্তরীয় ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘দ্য কমিশন অফ এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট’।
সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, দিল্লি-এনসিআর-এ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে পুরনো ইঞ্জিনের ডিজেল গাড়ির ব্যবহার। শুধু মাত্র বিএস-৬ ইঞ্জিন যুক্ত এবং জরুরি পরিষেবাতে থাকা যানবাহন এই নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় পাবে।
প্রশাসনের তরফে বৈদ্যুতিক এবং সিএনজি চালিত ট্রাক ছাড়া অন্য ট্রাকের দিল্লিতে প্রবেশ করার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে এই নিয়ম থেকে ছাড় দেওয়া হবে ওষুধের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বহনকারী ট্রাকগুলিকে।
দিল্লি-এনসিআর হাইওয়ে, উড়ালপুল, ওভারব্রিজ, পাইপলাইন নির্মাণ এবং ধ্বংসের কাজও আপাতত স্থগিত রাখা হবে। একই সঙ্গে বিশুদ্ধ জ্বালানি নিয়ে কাজ করছে না এ রকম কলকারখানাগুলিকেও কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু মাত্র দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্যের শিল্প এবং জীবনদায়ী চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কারখানাগুলি এই বিধিনিষেধ থেকে ছাড় পাবে।
দিল্লিতে এক দিন অন্তর জোড়-বিজোড় নম্বর প্লেটযুক্ত গাড়ির রাস্তায় নামার যে নিয়ম চালু ছিল তা আরও কড়া ভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই নয়ডার সমস্ত স্কুল বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত অনলাইনেই চলবে পঠনপাঠন। দিল্লিতেও স্কুলগুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয়-রাজ্য সরকারের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।