Baba Siddique murder

ফ্লাইট মোড, ওয়াই-ফাই! ফোনের লোকেশন লুকিয়ে বিশ্নোইয়ের সঙ্গে কথা হয় সিদ্দিকি খুনে অভিযুক্তের

সিদ্দিকি খুনের চক্রান্তের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গত ১৬ নভেম্বর পঞ্জাব থেকে গ্রেফতার করা হয় আকাশদীপ গিলকে। তিনি কৌশলে ফোনের লোকেশন গোপন করেছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:১৩
(বাঁ দিকে) মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। লরেন্স বিশ্নোইয়ের ভাই আনমোল বিশ্নোই (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। লরেন্স বিশ্নোইয়ের ভাই আনমোল বিশ্নোই (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

মোবাইল ফোনের লোকেশন লুকিয়ে কৌশলে গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইয়ের ভাই আনমোল বিশ্নোইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন বাবা সিদ্দিকি খুনে অন্যতম অভিযুক্ত। পুলিশি জেরার মুখে সেই কৌশলের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, ফোনের ফ্লাইট মোড এবং ওয়াইফাই ব্যবহার করে লোকেশন গোপন করেছিলেন তিনি। তার পর যোগাযোগ করেছিলেন বিদেশে আনমোলের সঙ্গে। অভিযুক্তের নাম আকাশদীপ গিল। মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দিকি খুনের চক্রান্তের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গত ১৬ নভেম্বর পঞ্জাব থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

সিদ্দিকিকে খুন করতে সরাসরি যাননি আকাশদীপ। তাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, তিনি সিদ্দিকি খুনের চক্রান্তে সহযোগিতা করেছিলেন। বাইরে থেকে প্রযুক্তিগত সাহায্য করেছিলেন চক্রান্তকারীদের। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, পঞ্জাবে বসেই এক কৃষকের মোবাইলের ইন্টারনেট হটস্পট ব্যবহার করেছিলেন। তার মাধ্যমে সরাসরি কথা বলেছিলেন আনমোলের সঙ্গে। এ ছাড়া, চক্রান্তের অন্য মাথাদের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছিল। আকাশদীপ যোগাযোগ করেছিলেন শুভম লোঙ্কার, জ়িশান আখতার এবং অন্যতম প্রধান শুটার শিবকুমার গৌতমের সঙ্গে।

পুলিশ সূত্রে খবর, পঞ্জাবে যে কৃষকের হটস্পট ব্যবহার করেছিলেন আকাশদীপ, তাঁর নাম বলবিন্দর। নিজের ফোনটিকে ফ্লাইট মোডে রেখেছিলেন আকাশদীপ। তার ফলে তাঁর ফোনের লোকশন বোঝা যাচ্ছিল না। এ বার সেই ফোনেই তিনি ওয়াইফাই চালান এবং বলবিন্দরের হটস্পটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ করেন। এই পদ্ধতিতে লোকেশন লুকিয়ে পুলিশের চোখে ধুলো দিতে পেরেছিলেন তিনি। জেরার মুখে এই তথ্য স্বীকার করেছেন।

আকাশদীপকে গ্রেফতার করলেও তাঁর মোবাইল ফোনটি পুলিশ পায়নি। সেটির খোঁজ চলছে। ওই ফোন থেকে সিদ্দিকি খুনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে, মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাঁর গ্রেফতারির পর সিদ্দিকি খুনে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪।

সিদ্দিকিকে খুনে অভিযুক্ত শুটার গৌতমের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ আরও বৃদ্ধি করেছে আদালত। পুলিশের দাবি, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। যে অস্ত্র তিনি ব্যবহার করেছিলেন, তা-ও এখনও পাওয়া যায়নি। গত ১২ অক্টোবর মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সিদ্দিকিকে গুলি করে খুন করা হয়। এই ঘটনায় গুজরাতের জেলে বন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোই এবং তাঁর গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে বলে দাবি মুম্বই পুলিশের।

আরও পড়ুন
Advertisement