NEET Paper Leak Case

ধৃতেরা জেরায় নিট দুর্নীতির দুই ‘পাণ্ডা’র নাম করলেও কোর্টে বয়ানে অন্য কথা বলেছেন, দাবি সূত্রের

অভিযোগ, নিট পরীক্ষার আগের দিন ২৫ জন পরীক্ষার্থীকে একটি ছাত্রাবাসের রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন সঞ্জীব। সেখানেই ওই পরীক্ষার্থীদের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র এবং তার উত্তর লিখে দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪ ১৩:১১
নিট দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত সঞ্জীব মুখিয়া (বাঁ দিকে)।

নিট দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত সঞ্জীব মুখিয়া (বাঁ দিকে)। — ফাইল চিত্র।

ডাক্তারির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা নিট দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃতদের বেশির ভাগই জেরায় নাম নিয়েছে সঞ্জীব মুখিয়া এবং সিকন্দর যাদবেন্দুর। সিবিআই সূত্রকে উদ্ধৃত করে তেমনটাই জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। এই দু’জনকে দুর্নীতিকাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ওই সূত্র জানাচ্ছে, দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃতেরাই যখন আদালতে বয়ান দিয়েছেন, তাতে নাকি অন্য কথা বলেছেন। অর্থাৎ জেরায় উঠে আসা তথ্য এবং বয়ানের মধ্যে ফারাক রয়েছে।

Advertisement

নিটে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। সারা দেশে চলছে ধরপাকড়। তদন্তে নেমেছে সিবিআই। বিহার, ঝাড়খণ্ড, দেহরাদূন থেকে গ্রেফতার করেছে তারা। বিহার থেকে ধৃতদের বেউর জেলে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। সেই জেরাতেই অভিযুক্তেরা সঞ্জীব এবং সিকন্দরের নাম নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। তবে আদালতে তাঁরা যে বয়ান দিয়েছেন, তাতে অন্য কথা রয়েছে।

অভিযোগ, নিট পরীক্ষার আগের দিন ২৫ জন পরীক্ষার্থীকে একটি ছাত্রাবাসের রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন সঞ্জীব। ৫ মে ছিল নিট পরীক্ষা। সেখানেই ওই পরীক্ষার্থীদের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র এবং তার উত্তর লিখে দেওয়া হয়েছিল। সঞ্জীবের ছেলে শিবও জেলে। বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত সিকন্দর দানাপুর পুরসভার জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার। বিহার পুলিশ জানিয়েছে, নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসে তাঁরও হাত রয়েছে। এখন পর্যন্ত এই দুর্নীতিকাণ্ডে ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

৫ মে নিট পরীক্ষায় প্রায় ২৪ লক্ষ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ৫৭১টি শহরের ৪,৭৫০ কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়েছে। ৪ জুন ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, ৬৭ জন পড়ুয়া মোট নম্বর ৭২০-তে ৭২০ পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছ’জন আবার একই কোচিং সেন্টারের। পরীক্ষার আয়োজন করেছিল এনটিএ। ১,৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে সময়জনিত সমস্যার কারণে বাড়তি নম্বর (গ্রেস মার্ক) দেওয়া হয়। কেন দেওয়া হল, সেই প্রশ্ন ওঠে। তার জন্য আঙুল ওঠে এনটিএর দিকে।

আরও পড়ুন
Advertisement