আপ নেতা সঞ্জয় সিংহ। —ফাইল চিত্র।
আবগারি ‘দুর্নীতি’র তদন্তে ইডির নজরে আরও আম আদমি পার্টি (আপ)-র নেতা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির আধিকারিকেরা বুধবার সকাল থেকেই তল্লাশি চালাচ্ছেন আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহের বাসভবনে। বুধবার ভোরে সাংসদের দিল্লির বাড়িতে পৌঁছন বেশ কয়েক জন ইডি আধিকারিক। ইডি সূত্রে খবর, এই তল্লাশি-পর্ব বেশ কিছু সময় ধরে চলতে পারে।
এর আগে আবগারি দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আপ নেতা তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। ২০২১ সালে দিল্লির আবগারি দুর্নীতিতে বদল আনে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের নেতৃত্বাধীন আপ সরকার। পরে যদিও সেই নীতি বাতিল করা হয়। সিবিআইয়ের দাবি, ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতিতে দিল্লি সরকার কয়েক জন মদ ব্যবসায়ীকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল। তার বদলে বিপুল অর্থের হাতবদল হয়েছিল। যদিও গোড়া থেকেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে আপ। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিতর্কিত আবগারি নীতিটি অবশ্য বাতিলও করা হয়। কিন্তু সেই বাতিল নীতিতেই বহু টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ করেন দিল্লির লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল ভিকে সাক্সেনা। তিনি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন।
দীনেশ অরোরা নামের এক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, সিসৌদিয়ার সঙ্গে তাঁর আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন সঞ্জয়ই। ঘটনাচক্রে, সেই সময় দিল্লির আবগারি মন্ত্রীও ছিলেন মণীশ। তবে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠলেও এত দিন এই মামলার তিনটি চার্জশিটে নাম ছিল না তাঁর। এমনকি এই মামলায় অভিযুক্ত হিসাবেও আদালতে এক বারও তাঁর নাম নেয়নি ইডি। যদিও ইডির চার্জশিটে নাম রয়েছে সিসৌদিয়ার। প্রসঙ্গত, এই মামলায় গত এপ্রিল মাসে প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।