(বাঁ দিকে) অরবিন্দ কেজরীওয়াল। রাহুল গান্ধী (ডান দিকে)। —পি টি আই।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ডাকা বিজেপি বিরোধী দলগুলির বৈঠকে আগে আম আদমি পার্টি (আপ)-কংগ্রেস সংঘাতের পারদ চড়়ছে জাতীয় রাজনীতিতে। আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল কংগ্রেসের উপরে চাপ বাড়িয়ে রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা ভোটে লড়ার ঘোষণা করার পরেই ‘প্রত্যাঘাত’ করল রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দল। গুজরাত আপের সহ-সভাপতির পদে থাকা বশ্রাম সগাথিয়া-সহ সে রাজ্যের কয়েক জন কেজরী-ঘনিষ্ঠকে টেনে আনা হল ‘হাত’ শিবিরে।
চলতি সপ্তাহেই আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে আসন্ন বিধানসভা ভোটে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। রাজস্থানের গঙ্গানগরে গিয়ে সে রাজ্যের কংগ্রেস শাসকদলের কড়া সমালোচনাও করেছিলেন তিনি। গত বছর গুজরাতে প্রার্থী দিয়ে মাত্র পাঁচটি আসনে জিতলেও কেজরীর দল তিন ডজনের বেশি আসনে ভোট কেটে কংগ্রেস প্রার্থীদের হারিয়েছিল বলে অভিযোগ।
পটনায় নীতীশ এবং আরজেডি সভাপতি লালুপ্রসাদের ছেলে তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের ডাকা বিরোধী জোটের বৈঠকে আগামী শুক্রবার এক মঞ্চে উপস্থিত থাকার কথা রাহুল, খড়্গে এবং কেজরীর। পাশাপাশি, তৃণমূলের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন, জেএমএম সভাপতি হেমন্ত সোরেন, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার হাজির থাকবেন ওই বৈঠকে। বৈঠকের মূল লক্ষ্যই হল, আগামী বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী দলগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধন করে একজোট হয়ে লড়াইয়ে নামা।
কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে আপ-সহ কয়েকটি দলের সঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্বের টানাপড়েন তৈরি। দিল্লিতে শীলা দীক্ষিতের সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসা অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে কোনও ভাবেই বাড়তি জায়গা দিতে রাজি নয় কংগ্রেস। এমনকি আমলাতন্ত্রের দখল নিয়ে মোদী সরকারের তরফে আসতে চলা সম্ভাব্য বিলের বিরোধিতায় যখন অন্য বিরোধীরা কেজরীওয়ালের পক্ষে, তখন কংগ্রেস তার সমর্থনের বিষয়টি এখনও ঝুলিয়ে রেখেছে। একই ভাবে বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন কংগ্রেস-তৃণমূল ‘সমীকরণে’ জটিলতা তৈরি করেছে।