Shraddha Walker Murder

আদালতে আফতাব খুনের কথা স্বীকার করলেও তাঁকে দোষী প্রমাণ করা কঠিন হবে, বলছেন আইনজীবী

শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে খুনে অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুণাওয়ালার আইনজীবী অবিনাশ কুমার জানিয়েছেন, এই মামলাটি পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ নির্ভর। খুনের কথা স্বীকার করলেও তাঁকে দোষী প্রমাণ করা কঠিন।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২২ ০৮:৩০
আফতাবের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে দিল্লি পুলিশ শ্রদ্ধার খুনের তদন্ত এগিয়ে নিয়ে চলেছে।

আফতাবের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে দিল্লি পুলিশ শ্রদ্ধার খুনের তদন্ত এগিয়ে নিয়ে চলেছে। —ফাইল চিত্র।

মঙ্গলবার দিল্লির সাকেতের নিম্ন আদালতে শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যাকাণ্ডের মামলার শুনানি চলাকালীন খুনে অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুণাওয়ালা স্বীকার করেন যে, তিনি রাগের মাথায় তাঁর প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে গলা টিপে খুন করেছিলেন। কিন্তু এই স্বীকারোক্তির পরেও আফতাবকে দোষী প্রমাণ করা যাবে না বলে মনে করেন তাঁর আইনজীবী। আফতাবের আইনজীবী অবিনাশ কুমার এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এই মামলাটি পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ নির্ভর। আফতাব পুলিশকে যা তথ্য দিয়েছেন, তার উপর ভিত্তি করে পুলিশ শ্রদ্ধার খুনের তদন্ত এগিয়ে নিয়ে চলেছে।

এ ছাড়াও, আফতাব আদালতে খুনের কথা স্বীকার করলেও জেলা শাসকের সামনে এই স্বীকারোক্তি করেননি। তাই, তাঁকে খুনি হিসেবে দোষী প্রমাণ করা যাবে না বলে মনে করেন তিনি। আফতাবের দাবি, ছ’মাস আগে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলেন তিনি। ফলে এই খুনের বিষয়টি নিয়ে অনেক কিছুই স্পষ্ট ভাবে মনে করতে পারছেন না বলেও মঙ্গলবার আদালতে জানিয়েছেন আফতাব।

Advertisement

শ্রদ্ধাকে খুন করার সময় কোনও হাতিয়ার ব্যবহার করেননি আফতাব, গলা টিপে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন। খুনের পর শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করার জন্য ব্লেড এবং করাত ব্যবহার করেছিলেন তিনি। এ ছাড়াও, ফ্ল্যাটের বাথরুম ও রান্নাঘরের টাইলস্‌ সরিয়ে রক্তের চিহ্ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক পরীক্ষাগারের (সিএফসিএল) বিশেষজ্ঞেরা। কিন্তু, ছ’মাস পুরনো এই প্রমাণগুলি আদৌ কতটা কার্যকরী সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। প্রসঙ্গত, গত ১৮ মে দিল্লির মেহরৌলির ফ্ল্যাটে ২৭ বছর বয়সি একত্রবাসের সঙ্গী শ্রদ্ধাকে ২৮ বছরের আফতাব গলা টিপে খুন করেন বলে অভিযোগ।

এর পর প্রেমিকার দেহ করাত দিয়ে ৩৫ টুকরো করেছিলেন তিনি। তার পর সেই টুকরোগুলি ফ্রিজে রেখে একে একে দিল্লির ছতরপুরের জঙ্গলে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। দিল্লি পুলিশের দাবি, গুগ্‌ল করে মানবদেহ টুকরো করে কাটা এবং রক্তের দাগ পরিষ্কারের পদ্ধতি খুঁজেছিলেন ধৃত আফতাব। এই পরিস্থিতিতে আফতাবের ফ্ল্যাট থেকে শ্রদ্ধার রক্তের নমুনা-সহ পলিগ্রাফ এবং নার্কো পরীক্ষার ফলাফল সামনে এলে তা তদন্তের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ‘প্রমাণ’ হয়ে উঠতে পারে। সূত্রের দাবি, ফরেন্সিক রিপোর্ট পেতে এখনও এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

আরও পড়ুন
Advertisement