বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের কায়দায় বিহারেও অন্য দল ভেঙে সরকার গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। মঙ্গলবার এই অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ জেডিইউ নেতা তথা সে রাজ্যের মন্ত্রী বিজয় চৌধুরী। বিহার বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার বিজয়ের অভিযোগ, ইতিমধ্যেই বিজেপির ‘এজেন্টরা’ কয়েক জন বিধায়ককে কেনার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে তাঁদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এসেছে।
গত বছর জুনে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনায় ভাঙন ধরিয়ে ‘মহাবিকাশ অঘাড়ী’ জোটের পতন ঘটিয়েছিল বিজেপি। এর পর গত রবিবার এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের দলে ভাঙন ধরিয়েছে শিন্ডেসেনা-বিজেপি জোট। ঘটনাচক্রে, বিজেপি-বিরোধী নেতাদের একজোট করার কাজে সম্প্রতি সব চেয়ে বেশি সক্রিয় দেখা যায় মহারাষ্ট্রের শরদ এবং বিহারের নীতীশ ও আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের ছেলে তথা উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে। গত ২৩ জুন জোটের প্রথম বৈঠকটিও ছিল পটনায়। ওই বৈঠকে ও তার পরে জোটের অলিখিত মুখপাত্রের ভূমিকা নিতে দেখা যায় এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারকে।
দু’দিন আগে অজিত ও প্রভাবশালী নেতা প্রফুল্ল পটেলকে ভাঙিয়ে শরদের দলকে অস্তিত্বের সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। তার পরেই বিহার এ বার তাদের নিশানা বলে অভিযোগ বিরোধীদের। ঘটনাচক্রে, গত কয়েক মাসে নীতীশের সঙ্গ ছেড়ে পদ্ম-শিবিরে শামিল হয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহা, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝি, জেডিইউর প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি আরসিপি সিংহ। আবার সোমবারই রেলের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় লালু-তেজস্বীর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। মন্ত্রী বিজয়ের অভিযোগ, লোভ দেখানোর পাশাপাশি সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকেও বিধায়কদের ভয় দেখানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।