Karnataka Incident

স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে জেল খাটছেন স্বামী, পাঁচ বছর পর আদালতে হাজির সেই মহিলাই!

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কর্নাটকের বাসিন্দা সুরেশ ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে থানায় নিজের স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করেন। পরে তাঁকেই স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৫ ২২:৫৬
A Man serves jail for wife\\\'s death case, now she turns up alive in court

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন কর্নাটকের এক ব্যক্তি। তার পর মামলা চলে আদালতে। পুলিশের তদন্তের ভিত্তিতে দাখিল করা চার্জশিট খতিয়ে দেখে জেল হেফাজতের নির্দেশও দেন বিচারক। ইতিমধ্যেই খুনের অভিযোগে দেড় বছর জেলও খেটে ফেলেছেন। হঠাৎ সেই স্ত্রীই সশরীরে আদালতে হাজিরা দেন। জানান, তিনি জীবিত!

Advertisement

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কর্নাটকের বাসিন্দা সুরেশ ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে থানায় নিজের স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করেন। সুরেশের দাবি ছিল, তাঁর স্ত্রী মালিগে কোড়াগু জেলার কুশলনগর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। ঘটনার তদন্ত চলাকালীনই বেত্তাদারপুরা থেকে পুলিশ একটি মহিলার কঙ্কাল খুঁজে পায়। পুলিশ চার্জশিটে জানায়, ওই কঙ্কালটি মালিগের। তাঁকে খুন করে পুঁতে দিয়েছিলেন তাঁর স্বামী সুরেশই! সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সুরেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। প্রায় দেড় বছর তিনি স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে জেল খাটছেন।

গত ১ এপ্রিল সুরেশের এক বন্ধু দাবি করেন, মাদিকেরিতে তিনি অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে মালিগেকে দেখতে পান! বিষয়টি অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা আদালতের নজরে আনা হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে বিচারক সুরেশের স্ত্রীকে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মতো আদালতে হাজির হন মালিগে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেই সঙ্গে তদন্তে গাফিলতিরও অভিযোগ ওঠে। বিচারক তদন্তকারীদের ভর্ৎসনাও করেন। শুধু তা-ই নয়, পুলিশ সুপারকে বিষয়টি নিয়ে সম্পূর্ণ রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশও দিয়েছেন।

সুরেশের আইনজীবীর বক্তব্য, ‘‘কঙ্কাল পাওয়ার পরই পুলিশ আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে মামলা সাজাতে তৎপর হয়। ডিএনএ রিপোর্ট আসার আগেই তারা চার্জশিট দাখিল করে।’’ তাঁর দাবি, সুরেশের বন্ধু গত ১ এপ্রিল একটি হোটেলে মালিগেকে অন্য একটি ব্যক্তির সঙ্গে খাবার খেতে দেখেন। ঘটনাচক্রে, ওই ব্যক্তিও এই মামলার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন। ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে বিচারক সুরেশের স্ত্রীকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের পর তিনি আদালতে আসেন। জানান, নিজের ইচ্ছাতেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। অন্য এক জনকে বিয়েও করেন। পরে সুরেশের সঙ্গে কী হয়েছিল, সেই সম্পর্কে তিনি অবগত নন।

Advertisement
আরও পড়ুন