অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিক। ছবি: এক্স।
ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে ‘ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা হল এক সরকারি আধিকারিকের। সত্যিই সত্যিই কেঁদে ভাসালেন ওই আধিকারিক! অনুনয়- বিনয়েও কোনও কাজ হল না। শেষমেশ গ্রেফতার হতে হল দুর্নীতি দমন শাখার (এসিবি) হাতে। ঘটনাটি তেলঙ্গানার।
এসিবি সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই মহিলা সরকারি আধিকারিকের নাম কে জগা জ্যোতি। তিনি তেলঙ্গানার তফসিলি উপজাতি কল্যাণ দফতরের এক জন এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার। একটি কাজ করিয়ে দেওয়ার জন্য এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৮৪ হাজার টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই-ই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই ঘুষ নেওয়া এবং দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল। সেই অভিযোগ দুর্নীতি দমন শাখার কাছেও পৌঁছয়।
অনেক দিন ধরেই ওই আধিকারিককে হাতেনাতে ধরার জন্য অপেক্ষা করছিল এসিবি। সেই সুযোগও এল। এক ব্যক্তির কাজ করিয়ে দেওয়ার নামে তাঁর কাছ থেকে ৮৪ হাজার টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই টাকা নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারের দফতরে হাজির হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। টাকা নেওয়ার সময়েই তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এসিবি আধিকারিকেরা। ইঞ্জিনিয়ারের ফেনল্পথ্যালিন পরীক্ষা করতেই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে বলে দাবি এসিবি আধিকারিকদের।
ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন ইঞ্জিনিয়ার কে জ্যোতি। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে ওই ইঞ্জিনিয়ারকে কাঁদতে দেখা যাচ্ছে। তাঁর সামনে টেবিলে রাখা ৫০০ টাকার বান্ডিল। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
এসিবি জানিয়েছে, কে জ্যোতি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক বার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইঞ্জিনিয়ারের কাছ থেকে ৮৪ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। এসিবি ডিরেক্টর জেনারেল সিভি বোস জানিয়েছেন, ইঞ্জিনিয়ারের অফিস ছাড়াও তাঁর বাড়ি থেকে নগদ ৬৫ লক্ষ টাকা এবং ৪ কেজি সোনা উদ্ধার হয়েছে।