UP Assembly Election 2022

Yogi Adityanath: উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন এ বার ৮০ বনাম ২০ শতাংশের লড়াই: যোগী

যোগী এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, এসপি, কংগ্রেসের মতো বিরোধী দল এই ২০ শতাংশ ভোট পাওয়ার জন্য নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২২ ০৮:১৩
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ফাইল চিত্র।

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ফাইল চিত্র।

ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পরে ৪৮ ঘণ্টাও কাটেনি। তার আগেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পুরোপুরি ধর্মীয় মেরুকরণের পথে চলে গেলেন বলে অভিযোগ উঠল। শনিবারই উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছে। চালু হয়েছে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি। গত সন্ধ্যায় যোগী এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন এ বার ৮০ শতাংশ বনাম ২০ শতাংশের লড়াই। এসপি, কংগ্রেসের মতো বিরোধী দল এই ২০ শতাংশ ভোট পাওয়ার জন্য নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে।

উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যার ১৯ থেকে ২০ শতাংশ মুসলিম। স্বাভাবিক ভাবেই বার্তা গিয়েছে, যোগী আসলে উত্তপ্রদেশের ভোটকে সংখ্যাগুরু হিন্দুদের সঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলিমদের লড়াই হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন। কারা এই ২০ শতাংশ? আরও স্পষ্ট করে যোগীর জবাব, যারা রামমন্দিরের বিরোধিতা করে, যারা কাশী বিশ্বনাথ ধামের বিরোধিতা করে, মথুরার আসল স্বরূপের বিরোধিতা করে, গুন্ডা, মাফিয়ার প্রতি সহানুভূতি রেখে চলে, তারাই এই ২০ শতাংশ। মুসলিমদের ভোট যে বিজেপির বদলে বিরোধীদের ঝুলিতে যাবে, সে দিকে ইঙ্গিত করে যোগী বলেছেন, ১০ মার্চ ভোটের ফল প্রকাশ হলেই দেখা যাবে, এই ২০ শতাংশ ভোট কোন দিকে গিয়েছে।

Advertisement

তিনি এ সব বলে ধর্মীয় মেরুকরণ করছেন কি না, সে প্রশ্নের জবাবে যোগীর বক্তব্য, ‘‘যাঁরা সুশাসন, উন্নয়নের সঙ্গে থাকেন, তাঁরাই ৮০ শতাংশ। আর যারা কৃষক বিরোধী, উন্নয়নের বিরোধী, গুন্ডা, মাফিয়ার সঙ্গে থাকে, সেই ২০ শতাংশই বিজেপি-বিরোধীদের সঙ্গে যায়।’’

কংগ্রেসের অভিযোগ, যোগী এই কথা বলে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। কংগ্রেসের নেতা দিগ্বিজয় সিংহের বক্তব্য, আদর্শ আচরণবিধির প্রথম নির্দেশিকাতেই বলা হয়েছে, কোনও দল বা প্রার্থী এমন কোনও কাজ করবে না যাতে বিভিন্ন ধর্ম, জাতি, ভাষা, সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ ও বিবাদ তৈরি হয়। প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব সঞ্জীব গুপ্তও এই যুক্তিতে সায় দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, এই ধরনের বক্তব্য এতটাই ভয়ঙ্কর যে ভাষা দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না।

এর আগে উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রচার বিজ্ঞাপনে সংখ্যালঘুদের নিশানা করে দেখানো হয়েছিল, আগের জমানায় তাঁরা হিংসা ছড়িয়েছেন। যোগী জমানায় তাঁদের মাফ চাইতে বাধ্য করা হচ্ছে। দিগ্বিজয় আজ নির্বাচন কমিশনকে সজাগ হয়ে যোগীর বক্তব্য, প্রচার-বিজ্ঞাপনে নজর দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। যোগীর মন্তব্য নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আজ টুইট করেন, ‘২০২২-এর নির্বাচন ঘৃণাকে হারানোর সঠিক সুযোগ।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement