Viral Video

সহায় ভাঙা চেয়ার, চরম তাপপ্রবাহের মধ্যে পেনশন তুলতে গেলেন বৃদ্ধা! ফিরতে হল খালি হাতে

স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃদ্ধার নাম সূর্য হরিজন। তাঁর বড় পুত্র ভিন্‌রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। ছোট পুত্রের পরিবারের সঙ্গে একটি কুঁড়েঘরে থাকেন তিনি।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ভুবনেশ্বর শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:০২
70 year old Odisha woman walks barefoot using a broken chair to collect pension but Fails To Withdraw.

ওড়িশার নবরাংপুর জেলার ঝারিগাঁও ব্লকে গত সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে। ছবি: টুইটার।

বাড়ি থেকে ব্যাঙ্কের দূরত্ব কয়েক কিলোমিটার। জীবনযাপনের জন্য সম্বল পেনশনের কয়েকটা মাত্র টাকা।কিন্তু ব্যাঙ্ক অবধি যাওয়ার জন্য যানবাহনের বিশেষ ব্যবস্থা নেই। ব্যবস্থা যেটুকু আছে, সেই গাড়ি চাপার মতো সঙ্গতি নেই। ক্ষমতা নেই ওয়াকার কেনারও। তাই চরম তাপপ্রবাহের মধ্যে খালি পায়ে ভাঙা চেয়ার ধরে হেঁটে হেঁটেই বাড়ি থেকে ব্যাঙ্কে যেতে হল ৭০ বছর বয়সি এক শীর্ণকায় বৃদ্ধাকে। ওড়িশার নবরাংপুর জেলার ঝারিগাঁও ব্লকে গত সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে। সমাজমাধ্যমে ইতিমধ্যেই সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃদ্ধার নাম সূর্য হরিজন। তাঁর বড় পুত্র ভিন্‌রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন।ছোট পুত্রের পরিবারের সঙ্গে একটি কুঁড়েঘরে থাকেন তিনি। জীবিকা নির্বাহ করেন অন্যের বাড়ির গবাদি পশু চরিয়ে। চাষবাস করার মতো জমি পর্যন্ত তাঁর কাছে নেই। তাই পেনশনের সামান্য টাকায় সংসার কোনও মতে চলে বৃদ্ধা সূর্যের। তাই সেই টাকা তুলতে না গিয়েও উপায় নেই।

Advertisement

তবে সোমবার পেনশন তুলতে গিয়ে ব্যাঙ্কের নির্দেশে খালি হাতেই ফিরতে হয় বৃদ্ধাকে। বৃদ্ধা পেনশন নিতে ব্যাঙ্কে যাওয়ার পর তাঁকে বলা হয়েছিল যে, তাঁর বুড়ো আঙুলে ছাপ রেকর্ডের সঙ্গে মিলছে না। এর পর তাঁকে ব্যাঙ্কের তরফে বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়।

তবে বৃদ্ধার ব্যাঙ্কে যাওয়ার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই)-এর ঝারিগাঁও শাখার তরফে জানানো হয়েছে, ‘ভাঙা আঙুলের’ কারণে তাঁর টাকা তুলতে সমস্যা হচ্ছে। ব্যাঙ্কের তরফে সেই সমস্যার সমাধানের কাজ চলছে বলেও ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে।

ঝারিগাঁও শাখার এসবিআই ম্যানেজার বলেন, ‘‘ওঁর আঙুল ভেঙে গিয়েছে। তাই তাঁর টাকা তুলতে সমস্যা হচ্ছে। ব্যাঙ্ক থেকে তাঁকে পেনশন বাবদ তিন হাজার টাকা দেওয়া হয়। আমরা শীঘ্রই সমস্যার সমাধান করব।’’

বৃদ্ধার গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান জানান, এই ধরনের অসহায় ব্যক্তিদের সহায়তার জন্য তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। কী ভাবে তাঁদের পেনশনের টাকা তুলে এনে দেওয়া যায়, সে বিষয়েও আলোচনা চলছে।

আরও পড়ুন
Advertisement