Dengue

২০২২ সালে দিল্লিতে ডেঙ্গি আক্রান্ত ৪৪৬৯, আগের বছরের তুলনায় আক্রান্ত কমেছে ৫৩%

২০২১ সালে দিল্লিতে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯ হাজার ৬১৩ জন। ২০১৫ সাল থেকে সর্বোচ্চ। ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছিল ২৯ জনের। ২০১৬ সালের পর এক বছরে ডেঙ্গিতে এত জনের মৃত্যু হয়নি দিল্লিতে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:০২
২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেখানে ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন ৯ জন।

২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেখানে ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন ৯ জন। ছবি: প্রতীকী

২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে দিল্লিতে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে ৫৩ শতাংশ। তবে গত বছর রাজধানীতে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ২০২২ সালে দিল্লিতে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৪৬৯ জন। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেখানে ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন ৯ জন। সোমবার এই তথ্য দিয়েছে দিল্লি পুরসভা।

২০২১ সালে দিল্লিতে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯ হাজার ৬১৩ জন। ২০১৫ সাল থেকে সর্বোচ্চ। ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছিল ২৯ জনের। ২০১৬ সালের পর এক বছরে ডেঙ্গিতে এত জনের মৃত্যু হয়নি দিল্লিতে।

Advertisement

মূলত জুলাই থেকে নভেম্বরে এ দেশে ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ে। কখনও ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সংক্রমণ দেখা যায়। দিল্লি পুরসভা (এমসিডি)-র রিপোর্ট বলছে, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে দিল্লিতে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৩ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬ জন, মার্চে ২২ জন, এপ্রিলে ২০ জন, মে মাসে ৩০ জন, জুন মাসে ৩২ জন। জুলাইয়ে দিল্লিতে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ জন। অগস্টে ৭৫ জন। এর পর আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে রাজধানীতে।

দিল্লিতে সব থেকে বেশি ডেঙ্গি সংক্রমণ হয়েছে নভেম্বরে। ১ হাজার ৪২০ জন সংক্রমিত হয়েছেন দিল্লিতে। অক্টোবরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ২৩৮। ডিসেম্বরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭৪। ২০১৫ সালে দিল্লিতে ব্যাপক ডেঙ্গি সংক্রমণ হয়েছিল। শুধু অক্টোবরেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১০ হাজার ৬০০ জন। ১৯৯৬ সাল থেকে সংক্রমণের এই ব্যাপকতা দেখা যায়নি। ২০২২ সালে দিল্লিতে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪৮ জন। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৬৩ জন। পুরসভার রিপোর্ট বলছে, ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দিল্লির ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৩৩৪টি বাড়িতে মিলেছে মশার লার্ভা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement