বাঁ দিক থেকে, বেঙ্গালুরুর বৈঠকে মমতা, রাহুল এবং দিল্লির বৈঠকে মোদী। ছবি: পিটিআই।
বেঙ্গালুরুতে ২৬টি বিরোধী দলের নেতারা মঙ্গলবার যখন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত মঙ্গলবার তখন দিল্লিতে এনডিএর বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহেরা। সোমবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা ৩৮ দলের অংশগ্রহণের কথা জানালেও সেই তালিকা প্রকাশ্যে আনেননি। মঙ্গলবার বৈঠকের সূচনায় তা প্রকাশ করা হয়।
বাংলা থেকে এনডিএর বৈঠকে ছিল গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (জিএনএলএফ)।তবে বিজেপির তরফে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সুখবীর বাদলের ‘শিরোমণি অকালি দল’ মঙ্গলবারের এনডিএ বৈঠকে যোগ দেয়নি বলে সূত্রের খবর। অন্য দিকে, লোকসভা ভোটে বিজেপির মোকাবিলায় ২৬টি বিরোধী দল মিলে মঙ্গলবার নতুন জোট ‘ইন্ডিয়া’ (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়ান্স)-র ঘোষণা করেছেন। জানানো হয়েছে, মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বইয়ে হবে জোটের পরবর্তী বৈঠক। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন জোটে রয়েছে কোন দল—
প্রথম মোদী সরকারের আমলে এনডিএর নিয়মিত বৈঠক হলেও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি একারই নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পাওয়ার এনডিএ কার্যত গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছিল। গত চার বছর ধরে জোটের কোনও বৈঠকও হয়নি। কিন্তু কর্নাটকের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের কাছে পর্যুদস্ত হওয়া, বিরোধীদের একজোট হওয়া, আসন্ন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট এবং সর্বোপরি আগামী বছরের লোকসভা ভোটকে নজরে রেখেই বিজেপি শীর্ষনেতৃত্ব আবার শরিকদের প্রয়োজন অনুভব করতে শুরু করেছেন বলে রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছেন। একই উদ্দেশে শুরু হয়েছে পুরনো শরিকদের নতুন করে কাছে টানার প্রক্রিয়াও।