মাত্র ২৩ বছর বয়সে শাশ্বত নকরানি দেশের কনিষ্ঠতম ধনীর তকমা পেয়ে গিয়েছেন। সম্প্রতি আইআইএফএল ওয়েল্থ হুরান ইন্ডিয়া-র ধনীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। খুব কম বয়সেই দেশের ধনীর তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন তাঁর মতো আরও ১৩ জন। তাঁদের মধ্যেই কনিষ্ঠতম শাশ্বত।
তাঁর বয়সী অন্যরা যখন কেউ স্নাতকোত্তরের বার্ষিক পরীক্ষার তোড়জোড় করছেন, কেউ বা স্নাতকের ডিগ্রি হাতে নিয়ে সবে মাত্র কাজে ঢুকেছেন কিংবা জীবনের লক্ষ্যই স্থির করে উঠতে পারেননি, সে বয়সেই শাশ্বত নজির গড়ে ফেলেন লেনদেনের অ্যাপ বানিয়ে।
অনলাইন লেনদেনের অ্যাপ ভারতপে-র সহ প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ফেসবুক অধিকর্তা মার্ক জুকারবার্গ কিংবা মাইক্রোসফট-এর প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস-এর মতো ভারতের শাশ্বতও কলেজের পড়া সম্পূর্ণ করেননি। নিজের অ্যাপ বানাতে পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও কলেজ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি।
২০১৫ সালে টেক্সটাইল প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনার জন্য দিল্লি আইআইটি-তে ভর্তি হয়েছিলেন শাশ্বত। কিন্তু কলেজের তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার আগেই কলেজ ছেড়ে দেন।
২০১৮ সালে আসনীর গ্রোভার এবং ভাবিক কোলাদিয়ার সঙ্গে মিলিত চেষ্টায় ভারতপে অ্যাপ বাজারে নিয়ে আসেন তিনি। সংস্থার গ্রুপ প্রোডাক্ট হেড হন।
মোট ১০০৭ জন উদ্যোগপতিদের উপর সমীক্ষা চালিয়েছিল আইআইএফএল ওয়েল্থ হুরান ইন্ডিয়া। তাঁদের মধ্যে কনিষ্ঠতম শাশ্বত।
শাশ্বত-র অ্যাপ ভারতপে ব্যবসায়ীদের কাছে এক সময় বহুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। এই ভারতপে অ্যাপ-এর কিউআর কোড-এর মাধ্যমেই পেটিএম, ফোনপে, গুগলপে, ভিম-সহ ১৫০টিরও বেশি ইউপিআই মাধ্যমে লেনদেন করা যায়।
পাশাপাশি আরও একটি রেকর্ড রয়েছে শাশ্বতের ঝুলিতে। শাশ্বত এমন একজন বিত্তবান উদ্যোগপতি যিনি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় এই জায়গায় পৌঁছেছেন।
নেটমাধ্যমে সক্রিয় শাশ্বত ব্যক্তিগত জীবন আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন। সুস্বাদু খাবার খাওয়া এবং ঘুরে বেড়ানো—তাঁর জীবনের দুই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নেটমাধ্যমে ঘুরে বেড়ানোর সমস্ত ছবি অনুগামীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন তিনি।
শাশ্বতের সম্পত্তির পরিমাণ কত? ইতিমধ্যেই অন্তত এক হাজার কোটি টাকার মালিক তিনি।