LIC

LIC: নেই কোনও দাবিদার, এলআইসি-র তহবিলে কত হাজার কোটি টাকা পড়ে রয়েছে জানেন?

২০১৮ সালের ৩১ মার্চ এলআইসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, তাঁদের কাছে মোট ১০ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা দাবিদারহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে।  ২০২০-র মার্চে তা দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৫২ কোটিতে। এর এক বছর পরে ২০২১-এর মার্চে এলআইসি জানায় তাদের তহবিলে জমা সুদ-সহ দাবিদারহীন অর্থের পরিমাণ ১৮ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:০১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পলিসি হোল্ডারের মৃত্যুর পর দীর্ধ দিন বিমার টাকা দাবি করেনি বহু পরিবার।ভারতীয় জীবনবিমা নিগম (এলআইসি)-র তহবিলে সেই দাবিহীন টাকা জমতে জমতে ২১ হাজার ৫৩৯ কোটিতে এসে দাঁড়িয়েছে। এমন তথ্যই উঠে এসেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থাটির আইপিও-র খসড়ায় (ড্রাফ‌্ট রেড হেরিং প্রসপেক্টাস সংক্ষেপে ডিআরএইচপি)।

বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র কাছে এলআইসি কর্তৃপক্ষের তরফে জমা দেওয়া ডিআরএইচপি-তে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই হিসেব। ফলে এখন তা আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তহবিলে জমা থাকা দাবিহীন অর্থের ক্ষেত্রে সুদসহ পরিমাণ জানানো হয়েছে এলআইসি-র তরফে।

২০১৮ সালের ৩১ মার্চ এলআইসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, তাঁদের কাছে মোট ১০ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা দাবিদারহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ২০২০-র মার্চে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৫২ কোটিতে। এর এক বছর পরে ২০২১-এর মার্চে এলআইসি জানায়, তাদের তহবিলে জমা সুদ-সহ দাবিদারহীন অর্থের পরিমাণ ১৮ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা।

Advertisement

প্রসঙ্গত, সেবির নিয়ম অনুসারে, প্রত্যেক বিমা সংস্থাকে তাদের নিজ নিজ ওয়েবসাইটে ১,০০০ টাকা বা তার বেশি পরিমাণ দাবিহীন অর্থ সংক্রান্ত তথ্য প্রদর্শন করতে হবে। ১০ বছর পূর্ণ হওয়ার পরেও চালিয়ে যেতে হবে। ওই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পলিসিহোল্ডার বা তাঁর উত্তরাধিকারিদের সাহায্যের বন্দোবস্ত করার কথাও বলা রয়েছে সেবি-র নির্দেশিকা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement