Narendra Modi Stadium

নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে খলিস্তান জঙ্গিগোষ্ঠীর নামে হুমকি, মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার দুই

৯ মার্চ আমদাবাদে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ শুরু হয়। কিন্তু তার আগেই খলিস্তান জঙ্গি গুরপতবন্ত সিংহ পান্নুনের নামে ভিডিয়ো এবং অডিয়ো বার্তা ছড়ানো হয় গুজরাতে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
আমদাবাদ শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৩ ১৬:৩৩
Narendra Modi Stadium

গুজরাতের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। ফাইল চিত্র।

গুজরাতে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে তাণ্ডব চালানোর হুমকি বার্তা পাঠানোর ঘটনায় মধ্যপ্রদেশের রীবা থেকে দুই যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা হলেন, রাহুল কুমার এবং নরেন্দ্র কুশওয়া। দু’জনেই মধ্যপ্রদেশের সতনার বাসিন্দা।

গুজরাতের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার (সাইবার অপরাধ) জিতেন্দ্র যাদব বলেন, “হুমকি বার্তা দেওয়ার ঘটনায় আমরা ২ জনকে গ্রেফতার করেছি। যে ভিডিয়ো বার্তায় হুমকি দেওয়া হয়েছিল তা চিহ্নিত করে মধ্যপ্রদেশের রীবায় পৌঁছয় পুলিশের একটি দল। সেখানে একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার হয়েছে ২ জনকে। এ ধরনের হুমকি ফোন, বার্তা পাঠানোর জন্য সরঞ্জামও উদ্ধার হয়েছে। সিমের ১১টি বাক্স, ৩০০ সিম কার্ড এবং ৪-৫টি রাউটার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।”

Advertisement

যাদব জানিয়েছেন, যে পদ্ধতিতে হুমকি বার্তা পাঠানো হয়েছিল, তার সূত্র কোনও ভাবেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু একাধিক সূত্র কাজে লাগিয়ে অভিযুক্তদের ধরা সম্ভব হয়েছে।

গত ৯ মার্চ আমদাবাদে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ শুরু হয়। ম্যাচ দেখতে আসার কথা ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ়ের। কিন্তু সেই ম্যাচের আগেই খলিস্তান জঙ্গি গুরপতবন্ত সিংহ পান্নুনের নামে ভিডিয়ো এবং অডিয়ো বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয় গুজরাতে। সেই বার্তায় বলা হয়েছিল, “৯ মার্চ গুজরাতবাসীরা বাড়িতেই থাকুন, সুরক্ষিত থাকুন। কারণ খলিস্তানপন্থীরা নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ঢুকে হামলা চালাবে। সেখানে খলিস্তানি পতাকা উত্তোলন করা হবে।”

দুই রাষ্ট্রপ্রধান স্টেডিয়ামে আসার আগে এমন হুমকি বার্তা পেয়ে শোরগোল পড়ে যায় গুজরাত পুলিশ প্রশাসনে। নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়। নির্ধারিত সময় ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ শুরু হয়। মোদী এবং আলবানিজ় খেলা দেখতেও এসেছিলেন। কিন্তু তার পরেও এই হুমকি বার্তা নিয়ে স্বস্তিতে ছিল না গুজরাত পুলিশ। হুমকি বার্তা সূত্র খোঁজার কাজ চলতে থাকে। অবশেষে সেই সূত্রেরই উৎস মিলল মধ্যপ্রদেশে।

আরও পড়ুন
Advertisement