মুম্বইয়ের অ্যান্টপ হিল থানায় অভিযোগে তরুণীদের দাবি, কারও কাছ থেকে ৫০০ তো কারও থেকে ৪,০০০ টাকা পর্যন্তও তোলা চাইতেন অভিযুক্ত। প্রতীকী ছবি।
সমাজমাধ্যম থেকে তরুণীদের ছবি সংগ্রহের পর সেগুলি বিকৃত করে অশ্লীল ভিডিয়োয় জুড়ে দিতেন। এর পর সেগুলি দেখিয়ে তরুণীদের ব্ল্যাকমেল করতেন। টাকা না দিলেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন এক যুবক। আমদাবাদের ওই বাসিন্দার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেছেন মুম্বইয়ের ২২ জন তরুণী। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯ বছরের ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ।
তদন্তকারীদের দাবি, ২২ জন তরুণী সাহস করে থানায় অভিযোগ জানালেও অভিযুক্তের শিকার হয়েছেন মুম্বইয়ের ৩৯ জন তরুণী। অভিযোগ, প্রত্যেকেরই ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে সমাজমাধ্যমের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে তরুণীদের ডিসপ্লে প্রোফাইল (ডিপি) থেকে। এর পর সেগুলি বিকৃত করে অশ্লীল ভিডিয়োয় জুড়ে দিতেন অভিযুক্ত। এর পর শুরু হত ভয় দেখিয়ে টাকা তোলার খেলা। তাতে সামাজিক লজ্জার ভয়ে আত্মহত্যাও করতে চেয়েছিলেন বহু তরুণী।
মুম্বইয়ের অ্যান্টপ হিল থানায় অভিযোগে তরুণীদের দাবি, কারও কাছ থেকে ৫০০ তো কারও থেকে ৪,০০০ টাকা পর্যন্তও তোলা চাইতেন অভিযুক্ত। গত বছরের জুলাই থেকে এ ধরনের ব্ল্যাকমেল করছেন বলেও অভিযোগ। তাঁকে পাকড়াও করতে গান্ধীনগর পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান করেন মুম্বই পুলিশের আধিকারিকেরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, আদিত্য প্রশান্ত নামে ওই যুবকের দশম শ্রেণির গণ্ডি পেরোতে পারেননি। গুজরাতের গান্ধীনগরে একটি মাস্ক তৈরির কারখানায় কাজ করতেন তিনি। অ্যান্টপ হিল থানার সিনিয়র ইনস্পেক্টর নাসির কুলকার্নি জানিয়েছেন, ধৃতের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৭এ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। যদিও গ্রেফতারির পর জামিনে ছাড়া পেয়েছেন অভিযুক্ত।