—প্রতীকী ছবি।
আমাদের ভাগ্য-সহ জীবনের বিভিন্ন দিক, যেমন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, যশ, সঞ্চয়, ধন-সম্পদ, খ্যাতি, স্বামীস্ত্রীর সম্পর্ক, সন্তানের উন্নতি, সন্তানের বিবাহ, ব্যবসা বা চাকরি ইত্যাদি প্রভাবিত করে চলেছে আমাদের বাস্তু। বিভিন্ন গ্রহের কু-প্রভাব এবং সু-প্রভাবের মতো আমাদের বাড়ির বাস্তুও আমাদের উপর কু-প্রভাব ও সু-প্রভাব ফেলে।
১। আমরা যখন কোনও সমস্যা নিয়ে কোনও জ্যোতিষীর কাছে যাই, তিনি তখন জন্মছক বিচার করে সমস্যার সমাধানের উপায় জানিয়ে দেন। আমরা সেই রূপ প্রতিকার ধারণ করি। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রতিকার ধারণ করা সত্ত্বেও ছ’মাস এক বছর কেটে গেলেও সমস্যার কোনও সমাধান হল না, সমস্যা যেমন ছিল তেমনই থেকে গেল। জ্যোতিষী হয়তো সঠিক প্রতিকার দিয়েছিলেন কিন্তু তবুও অনেক সময় কাজ হয় না। কেন জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে আপনার বাস্তুতে।
২। একটা উদাহরণ সরূপ বলি। ধরুন, আপনার সন্তানের লেখাপড়ায় কোনও সমস্যা হচ্ছে। তার জন্য জ্যোতিষী প্রতিকারের ব্যবস্থা করলেন। কিন্তু কিছু দিন পর দেখা গেল লেখাপড়ায় কোনও উন্নতি হল না। এর কারণ, বাড়ির বাস্তুর পূর্ব কোণ অর্থাৎ ঈশান কোণ। বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণ নির্ধারণ করে সন্তানের পড়াশোনা। এই দিকটিকে দেবগুরু বৃহস্পতির দিক বলা হয়। তাই বাড়ির এই কোণে যদি বাস্তুদোষ থাকে, তা হলে সেই বাড়ির ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ক্ষেত্রে জ্যোতিষীর প্রতিকারের সঙ্গে সঙ্গে বাস্তুর প্রতিকারও করা প্রয়োজন। বাস্তু ঠিক করলে হয়তো এ রকম অনেক সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাবেন।