—প্রতীকী ছবি।
সারা পৃথিবীতে সংখ্যাতত্ত্বের বিভিন্ন পদ্ধতির প্রচলন আছে। সাধারণ মানুষের হিসাবের জন্য খুব সহজ-সরল, গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি হল এই সংখ্যাতত্ত্ব। এর সাহায্যে সহজেই নতুন বছর কেমন কাটবে তা জানতে পারা যায়। জানার পদ্ধতিটিও সহজ। নিজের জন্মসংখ্যা নির্ণয় করেই জানতে পারবেন। জন্মসংখ্যা নির্ণয়ের পদ্ধতি হল, জন্মদিন অর্থাৎ জন্মদিনের সংখ্যা, মাসের সংখ্যা এবং বছরের সংখ্যার যোগ ফলকে এক সংখ্যায় পরিবর্তন করতে হবে।
প্রাপ্ত সংখ্যা অনুযায়ী এই বছর কেমন যাবে জেনে নিন:
যেই সকল ব্যক্তির জন্মসংখ্যা ১, তাঁদের জন্য বছরটি শুভ। ২০২৫-এ কর্মশক্তি বৃদ্ধি পাবে। নতুন কিছু প্রাপ্তি হবে। মানসম্মান প্রাপ্তি হবে, চাকরি এবং ব্যবসায় সফলতা আসবে। কিন্তু ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে সমস্যা হবে।
প্রতিকার: রামজি এবং হনুমানজির পুজো করতে হবে। পিতা বা পিতৃতুল্য ব্যক্তির সেবায় শুভ ফল পাবেন।
যেই সকল ব্যক্তির জন্মসংখ্যা ২, তাঁরা আবেগ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে সমস্যা। মনের মতো কিছু না হলেও যত দূর সম্ভব মানিয়ে চলার চেষ্টা করুন। ২০২৫-এ যত মানিয়ে চলবেন, তত সফলতা পাবেন।
প্রতিকার: মা বা মাতৃতুল্য মহিলার সেবা করুন। শিব-পার্বতীর পুজো করলে সফলতা পবেন।
যেই সকল ব্যক্তির জন্মসংখ্যা ৩, তাঁদের জন্য এই বছরটি খুবই শুভ। নতুন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বছরটি খুবই ভাল। কর্মে সফলতা প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে পদন্নোতি হওয়ার যোগ রয়েছে। সৎ পরামর্শ দানে শুভ ফল পাবেন। খাবার পরিমাণের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন।
প্রতিকার: গুরু বা গুরুতুল্য ব্যক্তির সেবা করতে হবে। গুরু বা দেব স্থানীয় কাউকে এবং মন্দিরে দান করুন।
যেই সকল ব্যক্তির জন্মসংখ্যা ৪, পরিকল্পনা করে কাজ করুন। সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করুন। বিশেষ করে গাড়ি চালানোর সময় বা পথেঘাটে চলাফেরা করার সময় সতর্ক থাকুন। রাগ, অহঙ্কার এবং ভ্রম নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
প্রতিকার: হনুমান চালিশা পাঠ করতে হবে। শিব ঠাকুরের পুজো করতে পারলে খুব ভাল হয়।
যেই সকল ব্যক্তির জন্মসংখ্যা ৫, তাঁদের জন্য বছরটি খুবই শুভ। নতুন কোনও কাজ শুরু করার জন্য বছরটি খুবই শুভ। হঠকারিতা বর্জন করুন।
প্রতিকার: প্রতি দিন ৫টা দূর্বা ঘাস ও লাল জবা সহযোগে গণেশের পুজো করুন। প্রতি দিন সম্ভব না হলে বুধবার করে অবশ্যই পুজো করুন।
যেই সকল ব্যক্তির জন্মসংখ্যা ৬, তাঁদের কাজে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। বিয়ে, প্রেম এবং সন্তান প্রাপ্তির জন্য বছরটি শুভ। দাম্পত্যসুখ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অহঙ্কার ত্যাগ জরুরি।
প্রতিকার: সাদা জিনিস দান করুন। কন্যাসন্তান কে বা যে কোনও বাচ্চা মেয়েকে চকোলেট দান করুন।
যেই সকল ব্যক্তির জন্মসংখ্যা ৭, তাঁদের জন্য বছরটি শুভ হলেও নিজের অনুভূতিকে গুরুত্ব দিতে হবে। কোনও কাজে মন সায় না দিলে সেই কাজ না করাই ভাল। নতুন কাজ শুরু না করাই ভাল, করলেও খুব চিন্তাভাবনা করে শুরু করুন। ধ্যানকর্মে শুভ ফল প্রাপ্ত হবে। গর্ভবতী মহিলাদের বিশেষ সচেতনতা অবলম্বন করা জরুরি।
প্রতিকার: প্রতি দিন লাল জবা এবং ৭ টা দূর্বা সহযোগে গণেশের পুজো করুন। প্রতি দিন সম্ভব না হলে বুধবার করে পুজো করুন।
যেই সকল ব্যক্তির জন্মসংখ্যা ৮, তাঁদের জন্য বছরটি শুভ হলেও সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করা প্রয়োজন। বিশেষ করে গাড়ি চালানোর সময় বা পথেঘাটে চলাফেরা করার সময় সতর্ক থাকুন। গত বছরের অসমাপ্ত কাজ এই বছর সম্পূর্ণ হবে।
প্রতিকার: হনুমানজির পুজো করুন। হনুমান চালিশা পাঠ করুন। শনিবার শনি মহারাজের মন্দিরে সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজো দিন।
যেই সকল ব্যক্তির জন্মসংখ্যা ৯, তাঁদের জন্য বছরটি শুভ হলেও রাগ এবং অহঙ্কার নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। অন্যথায় এর ফলে দীর্ঘকালীন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। পরিকল্পনা করে কাজ করুন। চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিন। শরীর-স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখা জরুরি। শরীরচর্চা করা জরুরি।
প্রতিকার: হনুমানজীর পুজো করুন এবং হনুমান চালিশা পাঠ করুন।