স্বচ্ছ দৃষ্টি এবং গভীর চোখ নির্দেশ করে প্রচুর সহ্যের অধিকারী। ছবি: সংগৃহীত।
কথায় বলে চোখই মানুষের মনের আয়না। চোখ দেখে একটা মানুষের সম্পর্কে অনেক কিছুই বলে দেওয়া যায়। প্রত্যেকটা মানুষের চোখের আকৃতি, চোখের রং প্রভৃতি ভিন্ন প্রকারের হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে চোখের ধরন দেখে একটা মানুষের স্বভাব কিছুটা হলেও বলে দেওয়া যায়।
চোখের রং
ঘন নীল- বিশেষ ভদ্র, সংবেদনশীল ও অতি যৌন চেতনার অধিকারী ব্যক্তি হন।
হালকা নীল– বুদ্ধিমান এবং আকর্ষণীয় হন।
ধূসর- প্রচণ্ড বুদ্ধিমান, কল্পনাপ্রবণ যা বাস্তবে রূপ দিতে পারে এমন ব্যক্তি।
কালো– খুবই কম দেখা যায়। একটু কঠিন প্রকৃতির হন।
ঘন সবুজ– অত্যন্ত কর্মতৎপর, বাস্তববাদী, গভীর অনুধাবণ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তি।
চোখের প্রকৃতি
দু’টি চোখের দূরত্ব থেকে মানুষের প্রকৃতি- দু’টি চোখের দূরত্ব বেশি থাকলে জাতক বিভিন্ন প্রকার উপকরণ থেকে আনন্দ পায়। মন খোলা মানুষ হয়। দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মানুষ হয়। উল্টো দিকে দু’টি চোখের দূরত্ব কম হলে জাতকের দূরদৃষ্টি কম হয়। কম মানসিক শক্তির অধিকারী হয় এবং খুব বড় মানসিকতা সম্পন্ন হবে না।
স্ফীত চোখ- এই জাতক নতুন কোনও অভিজ্ঞতা সন্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খোলা মন, কিন্তু কোনও কোনও সময়ে অপরের কাজে হস্তক্ষেপ করে।
সন্দেহ মূলক চোখ- গোপনীয়তা মেনে চলা ও সন্দেহপ্রবণ এঁদের ধর্ম। নিজেরা সুখী কম হন এবং তাঁরা একটু বেশি চিন্তাশীল হন।
বিস্ময়কর চোখ- অস্থির প্রকৃতির, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ ও অসৎ প্রকৃতির ব্যক্তি হন।
চোখের মাপ- চোখের মাপ বড় হলে, ব্যক্তি কাষ্ঠ উপাদান সম্পন্ন ব্যক্তি। যে ভদ্র ও খোলা মনের মানুষ। বড় চোখ, সোজা দৃষ্টি ও চোখ গভীর হলে বোঝায় জাতক পার্থিব ও ধাতব গুনের মানুষ।
উজ্জ্বল চোখ- স্বচ্ছ দৃষ্টি এবং গভীর চোখ নির্দেশ করে প্রচুর সহ্যের অধিকারী। যদি চোখ নীচের পাতার সঙ্গে মেশে, তা হলে জাতক ভয়ার্ত এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হন।