—প্রতীকী ছবি।
শাস্ত্রমতে সফলতা প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে গজানন বা গণেশের পুজো করা হয়। গণেশের জন্মের পর মাতাদেবী পার্বতী সকল দেবতাগণকে তাঁর পুত্রকে আশীর্বাদ করার উদ্দেশে আমন্ত্রণ করেন। সকলের সঙ্গে নিমন্ত্রিত করা হয় শনিদেবকেও। শনিদেব অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিমন্ত্রণ রক্ষা করার জন্য সেখানে যান। শনিদেব যেই মুহূর্তে গণেশকে আশীর্বাদ করার উদ্দেশে গণেশের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন, ঠিক সেই মুহূর্তে গণেশের মস্তক ভস্মীভূত হয়। পরবর্তী কালে দেবতাদের তৎপরতায় গণেশের মাথার জায়গায় হস্তীমস্তক বসানো হয়। এই ব্যাপারটিতে দেবী পার্বতী ক্ষিপ্ত হন। শ্রী গণেশ দেবতা হিসাবে মান্যতা পাবেন কি না সেই ভাবনাই ছিল দেবী পার্বতীর রাগের মূল কারণ। দেবতাগণ পার্বতী মাতাকে আশ্বস্ত করেন। দেবতাগণ গণেশকে আশীর্বাদ দান করেন, যে কোনও শুভ কাজের শুরুতে শ্রী গণেশের পুজো করা হবে। গণেশ বন্দনায় পুজোর সফলতা প্রাপ্ত হবে।
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি, বাংলার ১৯ মাঘ, রবিবার শ্রীশ্রী গণেশ চতুর্থী, বিনায়ক চতুর্থী, বরদা চতুর্থী।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে–
চতুর্থী আরম্ভ–
বাংলা– ১৮ মাঘ, শনিবার।
ইংরেজি– ১ ফেব্রুয়ারি, শনিবার।
সময়– সকাল ১১টা ৪০ মিনিট।
চতুর্থী তিথি শেষ–
বাংলা– ১৯ মাঘ, রবিবার।
ইংরেজি– ২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার।
সময়– সকাল ৯টা ১৫ মিনিট।
শ্রীশ্রী গণেশ পুজো।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুসারে–
চতুর্থী আরম্ভ–
বাংলা– ১৮ মাঘ, শনিবার।
ইংরেজি– ১ ফেব্রুয়ারি, শনিবার।
সময়– সকাল ২টো ১৭ মিনিট ৫৪ সেকেন্ড।
চতুর্থী তিথি শেষ–
বাংলা– ১৯ মাঘ, রবিবার।
ইংরেজি– ২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার।
সময়– বেলা ১২টা ১২ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড।
শ্রীশ্রী গণেশ পুজো।