—ফাইল চিত্র।
যে কোনও কাজই সফলতা প্রাপ্তির উদ্দেশে করা হয়। সেই কারণে কোনও কাজ করার আগে শুভ সময় দেখে কাজটি শুরু করা হয়। সকল মা-বাবাই চান তাঁদের সন্তান যেন পড়াশোনায় ভাল হয়। সন্তানের সুশিক্ষা কামনা করেন প্রতিটি মা-বাবা। এই কামনা থেকেই বিদ্যা শুরুর শুভ সময় নির্ধারণের চেষ্টা করেন। বাঙালি হিন্দু শিশুদের লেখাপড়া সাধারণত শুরু হয় হাতেখড়ির মধ্যে দিয়ে। বসন্ত পঞ্চমীর পবিত্র তিথির শুভ মুহূর্তে অভ্র, আবীর, আমের মুকুল, যবের শীষ, দোয়াত-কলম সহযোগে বিদ্যা, জ্ঞান এবং সঙ্গীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনা করা হয়। দেবীর সামনে বসে হাতেখড়ি দেওয়ার মধ্যে দিয়ে বাঙালি হিন্দু শিশুর শিক্ষা শুরু হয়। এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন এই বছর সরস্বতী পুজোয় হাতেখড়ি দেওয়ার শুভ সময় কখন।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে:
পঞ্চমী তিথি আরম্ভ–
বাংলা– ১৯ মাঘ, রবিবার।
ইংরেজি– ২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার।
সময়– সকাল ৯ টা ১৬ মিনিট।
শ্রীশ্রী সরস্বতী পুজো।
অমৃতযোগ সকাল ৭টা ৪ মিনিট থেকে ১০টা।
মাহেন্দ্রযোগ বেলা ১২টা ৬ মিনিট থেকে ১টা ৪০ মিনিট।
পঞ্চমী তিথি শেষ–
বাংলা– ২০ মাঘ, সোমবার।
ইংরেজি– ৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার।
সময়– সকাল ৬ টা ৫৩ মিনিট।
অমৃতযোগ সকাল ৭টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুসারে–
পঞ্চমী তিথি আরম্ভ–
বাংলা– ১৯ মাঘ, রবিবার।
ইংরেজি– ২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার।
সময়– বেলা ১২টা ১২ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড।
অমৃতযোগ সকাল ৭টা ৪ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড থেকে সকাল ১০টা ২৫ সেকেন্ড পর্যন্ত।
মাহেন্দ্রযোগ বেলা ১২টা ৫৬ মিনিট ৬ সেকেন্ড থেকে ১টা ৪০ মিনিট ১ সেকেন্ড।
পঞ্চমী তিথি শেষ–
বাংলা– ২০ মাঘ, সোমবার।
ইং– ৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার।
সময়– সকাল ৯টা ৫৭ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড।
শ্রীশ্রী সরস্বতী পুজো।
মাহেন্দ্রযোগ সকাল ৭টা ৪৮ মিনিট ২২ সেকেন্ড পর্যন্ত।
পুরো পঞ্চমী তিথি জুড়েই হাতেখড়ি দেওয়া যায়। কিন্তু অমৃতযোগ এবং মাহেন্দ্রযোগ হাতেখড়ি দেওয়ার জন্য উপযুক্ত সময়। এই সময়ের মধ্যে হাতেখড়ি দিতে পারলে শিশুর বিদ্যাশিক্ষা খুবই ভাল হয়। কিন্তু, এই সময়ে সম্ভব না হলে পঞ্চমী তিথি জুড়ে যে কোনও সময়েই হাতেখড়ি দেওয়া যাবে।