ঋতুস্রাবজনিত কষ্ট গরমকালে বেশি হয়? ছবি: সংগৃহীত।
ঋতুস্রাব চলাকালীন প্রতি মাসের ওই কয়েকটা দিন মহিলাদের শারীরিক নানা রকম অস্বস্তি হয়। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বেশ কিছু মহিলা জানিয়েছেন, বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে গরমকালে ঋতুস্রাবজনিত অস্বস্তি বা কষ্টের মাত্রা বেশি। এর পিছনে কি আবহাওয়ার কোনও ভূমিকা রয়েছে?
স্ত্রীরোগ চিকিৎসকেরা বলছেন, গরমকালে ঋতুস্রাবজনিত কষ্ট বেড়ে যাওয়ার কারণ হল তাপপ্রবাহ। শুধু তা-ই নয়, এই আবহাওয়ার কারণে স্বাভাবিক ঋতুচক্রেও বদল আসতে পারে। দিন দিন বাড়তে থাকা তাপমাত্রা, গরমের দাপটে শুধু যে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের সমতা বিঘ্নিত হয় তা নয়, নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। শরীর ‘ডিহাইড্রেটেড’ হয়ে পড়ে, যা হরমোনের কার্যকারিতার উপরেও মারাত্মক প্রভাব ফেলে। যার ফলে মহিলাদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব, জরায়ুর পেশিতে ব্যথার মতো ঋতুস্রাবজনিত নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
অতিরিক্ত গরমে শারীরিক ক্লান্তি বেড়ে যায়। যা কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে। এই হরমোনটির সঙ্গে আবার শরীরের অন্যান্য নানা হরমোনের সম্পর্ক রয়েছে। যেখান থেকে মহিলাদের ঋতুস্রাবজনিত সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া গরমে শরীর ‘ডিহাইড্রেটেড’ হয়ে পড়লেও কিন্তু তার প্রভাব পড়ে ঋতুচক্রের উপর। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না হলে ঋতুস্রাবের পরিমাণ কমে যেতে পারে। পর্যাপ্ত জলের অভাবে শরীরে যদি ‘টক্সিন’ জমতে শুরু করে, সেই কারণেও হরমোনের হেরফের হয়।
তাপমাত্রা বাড়লে কী ধরনের ঋতুস্রাবজনিত কষ্ট বাড়তে পারে?
১. ঋতুস্রাবের সময়ে জরায়ুর পেশি সঙ্কোচন-প্রসারণের ফলে এমনিতেই পেটে যন্ত্রণা হয়। তার উপর যদি গরমে শরীর ‘ডিহাইড্রেটেড’ হয়ে পড়ে, তা হলে পেশিতে টান ধরার সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
২. ঋতুস্রাব চলাকালীন এমনিতেই শরীর দুর্বল থাকে। তার উপর অতিরিক্ত ঘামলে এই কষ্ট দ্বিগুণ হয়ে যায়।
৩. ঋতুস্রাব চলাকালীন ‘ওয়াটার রিটেনশন’, অর্থাৎ শরীরে তরলের ভারসাম্য নষ্ট হয়। সেই কারণেও পেটফাঁপার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।