যোগাসনেই কমবে গ্যাস-অম্বল। ছবি: সংগৃহীত।
খাদ্যরসিক বাঙালির গ্যাস-অম্বল যেন নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে উঠছে। তার অন্যতম কারণ অত্যধিক পরিমাণে বাইরের খাবার খাওয়া। এ ছাড়া, জল না খাওয়া, সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া না করার কারণে গ্যাসের সমস্যায় নাজেহাল হয়ে প়ড়েন অনেকেই। দিনের পর দিন এই ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে বদহজম, গ্যাস-অম্বল পিছু ছাড়ে না। খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়িয়ে দেয় ঠিকই। সামনেই উৎসব। আর উৎসব মানেই ভূরিভোজ, বাইরের মুখরোচক খাবারের স্বাদ নেওয়া। পুজোর আগেই পেট গ্যাস-অম্বলের সমস্যা জাঁকিয়ে বসলে, আনন্দটাই মাটি হয়ে যেতে পারে। তাই খাওয়াদাওয়ায় বদল আনার পাশাপাশি নিয়ম করে কয়েকটি যোগাসনও করতে হবে। সুস্থ থাকতে শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু গ্যাস-অম্বল থেকে বাঁচতে কোন যোগাসনগুলি নিয়ম করে করবেন?
নৌকাসন
এই আসনটি করতে প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। এর পর শ্বাস নিতে নিতে নিতম্ব ও কোমরে ভর দিয়ে দেহের উপরের অংশ ও পা একসঙ্গেই উপরের দিকে তুলুন। আপনার বাহু ও পায়ের পাতা একই দিকে থাকবে। নৌকা বা ইংরেজির এল আকৃতির মতো অবস্থায় থাকুন ১০ থেকে ৩০ সেকেন্ড। ধীরে ধীরে নিশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে প্রথম অবস্থায় ফিরে আসুন। প্রতি দিন ৩-৪ বার এই আসনটি করবেন।
পশ্চিমোত্তানাসন
এই আসনটি করতে প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে দু’হাত মাথার দু’পাশে উপরের দিকে রাখুন। পা দু’টি একসঙ্গে জোড়া রাখুন। এ বার আস্তে আস্তে উঠে বসে সামনে ঝুঁকে দু’হাত দিয়ে দুই পায়ের বুড়ো আঙুল স্পর্শ করুন। কপাল দু’পায়ে ঠেকান। হাঁটু ভাঁজ না করে পেট ও বুক উরুতে ঠেকান। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন। গ্যাসের সমস্যা নিশ্চিত ভাবে কমবে।
বালাসন
সবচেয়ে আরামদায়ক একটি যোগাসন। এই আসনটি করতে প্রথমে বজ্রাসনে বসুন। হাত দু’টি প্রণাম করার ভঙ্গিতে একসঙ্গে জড়ো করে সামনের দিকে ঝুঁকে বসুন। এ বার ধীরে ধীরে শ্বাস নিন, আর ছাড়ুন। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে বসার পর ধীরে ধীরে উঠে বসুন। প্রতি দিন এটা করলে গ্যাসের সমস্যা কমবে।