সব খাবারই যে শরীরের যত্ন নেয়, তা তো নয়। ছবি: সংগৃহীত।
নিয়মিত শরীরচর্চা না কি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া— শরীর ভাল রাখার সঠিক পথ কোনটি, তা নিয়ে চর্চা চলতেই থাকে। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, নানা রোগবালাই থেকে দূরে থাকতে শরীরচর্চার প্রয়োজনীয়তা তো আছেই। কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার সত্যিই কোনও বিকল্প নেই।
সব খাবারই যে শরীরের যত্ন নেয়, তা তো নয়। এমন অনেক খাবার রয়েছে, যেগুলি প্রায়ই খাওয়া হয়। তার ফলে অজান্তেই শরীরে বাসা বাঁধে নানা অসুস্থতা। কোন খাবারগুলি খালি চোখে স্বাস্থ্যকর মনে হলেও আদতে বিভিন্ন রোগের বীজ বহন করে?
সসেজ
বাড়িতে অতিথি আসুক কিংবা নিজেদের রসনাতৃপ্তি— প্রায়ই সসেজ খাওয়ার আসর বসে অনেকের বাড়িতে। মাঝেমাঝে সসেজ খেলে স্বাদের তৃপ্তি হয়তো হয়, কিন্তু শরীরের ক্ষতি। প্রক্রিয়াজাত মাংস এমনিতে অস্বাস্থ্যকর। তার উপর সসেজে নুনের পরিমাণও অনেক বেশি। ফলে নিয়মিত খেলে অন্ত্রের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
নারকেল তেল
শুধু রূপচর্চা নয়, রান্নাতেও অনেকে নারকেল তেল ব্যবহার করেন। এই তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি। দীর্ঘ দিন ধরে নারকেল তেল খাওয়ার ফলে হৃদ্যন্ত্রে ফ্যাটের পরিমাণ বাড়তে থাকে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে এতে। নারকেল তেলের বদলে ব্যবহার করতে পারেন অলিভ অয়েল, বাদাম তেল, অ্যাভোকাডো তেল।
প্যাকেটের ফলের রস
সকালের জলখাবারে ফলের রস খান অনেকেই। বাজারচলতি ফলের রসে বাড়তি চিনি মেশানো থাকে, যা ওজন বাড়িয়ে দেওয়া ছাড়াও আরও অনেক শারীরিক সমস্যার জন্ম দেয়। ফলে এমনিতেই শর্করার পরিমাণ বেশি। তার উপর আলাদা করে চিনি দেওয়া হলে তা শরীরের জন্য ভাল নয়। সবচেয়ে ভাল হয় যদি বাড়িতেই ফল দিয়ে রস তৈরি করে নেন। আর দোকান থেকে যদি কেনেন, সে ক্ষেত্রে কেনার সময়ে দেখে নিন উপকরণে আলাদা করে চিনির উল্লেখ আছে কি না। থাকলে সেই ফলের রস এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
চিনি
চা হোক কিংবা রান্নায়— এক চামচ চিনি না দিলে যেন মনটা খুঁতখুঁত করে। অথচ এই ছোট ছোট শুভ্র দানা হাজার রোগের জন্ম দেয়। তার মধ্যে অন্যতম ওজন বেড়ে যাওয়া। সেই সঙ্গে চিনি খাওয়ার অভ্যাসে বাড়ে টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকিও। ফলে চিনি না খাওয়াই ভাল। কিন্তু তা সত্ত্বেও চিনি যদি একান্ত খেতেই হয়, তার পরিমাণ যেন একেবারে কম হয়।
ফ্রায়েড চিকেন
বন্ধুদের সঙ্গে সান্ধ্য আড্ডায় ফ্রায়েড চিকেনের মতো মুখরোচক খাবার থাকেই। এই ধরনের খাবার নিঃসন্দেহে সুস্বাদু। কিন্তু শরীরের জন্য উপকারী নয়। ভাজা মাংসে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি। যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তা ছাড়া নুনের পরিমাণও একেবারে কম নয়। সেই সঙ্গে রয়েছে ক্যালোরিও। সুস্থ থাকতে এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।