দাঁতের ব্যথাকে অবহেলা নয়! ছবি: সংগৃহীত।
মিষ্টি খাবারের প্রতি সকলেরই দুর্বলতা আছে। সেই সব খাবার খাওয়ার পর যে ভাবে মুখের যত্ন নেওয়া উচিত, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা মেনে চলেন না অনেকে। ফলে যা হওয়ার, তা-ই হয়। কিছু খেতে গেলেই দাঁতে যন্ত্রণা করে। দাঁত ক্ষয়ে যায়। ঠান্ডা-গরমে দাঁতের গোড়া ফুলে ওঠে। কারও কারও দাঁত ক্ষয়ে ভেঙে পড়তে শুরু করে। মাড়ির অযত্নে মুখে দুর্গন্ধ হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। চিকিৎসকের কাছে গেলেই দাঁত তুলতে হবে, সেই ভয়ে অনেকেই লবঙ্গের তেল, নুন-গরম জলের মতো ঘরোয়া টোটকা দিয়ে ব্যথা বশে রাখেন। তবে দীর্ঘ দিন ধরে দাঁতের যন্ত্রণা অবহেলা করলে পরবর্তী ক্ষেত্রে তা বড় কোনও সমস্যা ডেকে আনতেই পারে। দাঁতের চিকিৎসকেরা বলেন, মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে একেবারে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই দাঁতের যত্ন নিতে হবে। দাঁতে সামান্য কালচে দাগ, গর্ত দেখলেই তৎক্ষণাৎ সতর্ক হতে হবে।
কোনও খাবার খাওয়ার পর দাঁতের গর্তে বা খাঁজে আটকে থাকলে সেখানে ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধতে শুরু করে। দাঁতের সুরক্ষা স্তর অর্থাৎ, এনামেল নষ্ট করে দেয়। দাঁতের স্নায়ুর মুখগুলিও খুলে যায়। একটু একটু করে দাঁতের গভীরে ক্ষত সৃষ্টি করে। সংক্রমণ গুরুতর হলে দাঁতে যন্ত্রণা, শক্ত কিছু খেতে গেলে রক্তপাত এমনকি, দাঁত ভেঙে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। দাঁতের চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ধরনের সমস্যাগুলি অবহেলা করলে সেখান থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে গোটা শরীর। দাঁত থেকে সংক্রমণ রক্তে মিশে যেতে পারে। সেখান থেকে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রে শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। শুধু তা-ই নয়, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে প্রদাহ বেড়ে যেতে পারে।