Miracle Winter Drink

ঘোল, দই কিছুই সহ্য হয় না? শীতে পেটের গোলমাল নিয়ন্ত্রণে রাখতে খেতে পারেন কাঞ্জি

কাঞ্জি নামে পরিচিত এক পানীয় রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়িয়ে তোলা থেকে পেটের রোগ ঠেকিয়ে রাখা, সবেতেই বিশেষ ভাবে কার্যকর।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:০০
Why you should have kanji, the miracle winter drink.

কাঞ্জি খেয়েছেন কখনও? ছবি: সংগৃহীত।

যতই বলুন না কেন, শীতকালে খাবার ব্যাপারে লাগাম টানা সম্ভব নয়। শুধু কেক, পায়েস বলে নয়। একের পর বিয়েবাড়ি, সপ্তাহান্তের অফিস পার্টি, ঘুরতে গিয়ে বাইরে ভালমন্দ খাওয়াদাওয়া— এ সব তো ছেড়ে দেওয়া যায় না। শীতকালে ঘুরে বেড়িয়ে যেমন সুখ, খেয়েও তেমন সুখ। হয়তো এই হাবিজাবি নানা খাবার খাওয়ার কারণেই পেটের রোগের বাড়বাড়ন্ত হয় এ সময়ে।

Advertisement

সাধারণত পেট ভাল রাখতে প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। তবে ঘোল বা দই খেলেও অনেকের পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শীতে সংক্রমণের সমস্যাও বৃদ্ধি পায়। তাই পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানের স্থানীয়েরা বিশেষ একটি পানীয় খান এই সময়ে। বাড়িতে অতিথি এলেও পরিবেশন করা হয় সেই পানীয়। কাঞ্জি নামে পরিচিত এই পানীয় রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়িয়ে তোলা থেকে পেটের রোগ ঠেকিয়ে রাখা, সবেতে বিশেষ ভাবে কার্যকর। পুষ্টিবিদ এবং নেটপ্রভাবী রুজুতা দিবেকর তাঁর সমাজমাধ্যমে এই পানীয় তৈরির ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। দেখে নিন জনপ্রিয় এই পানীয় তৈরির পদ্ধতি।

কী ভাবে তৈরি করবেন কাঞ্জি?

উপকরণ:

১) বিট: দেড় কেজি

২) জল: ২ লিটার

৩) রাই সর্ষে: আড়াই চামচ

৪) কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো: ১ টেবিল চামচ

৫) নুন: স্বাদ অনুযায়ী

Why you should have kanji, the miracle winter drink.

কাঞ্জি রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়িয়ে তোলা থেকে পেটের রোগ ঠেকিয়ে রাখা, সবেতে বিশেষ ভাবে কার্যকর। ছবি: সংগৃহীত।

পদ্ধতি:

১) প্রথমে বিটের খোসা ছাড়িয়ে, ভাল করে ধুয়ে নিয়ে ছোট ছোট করে কেটে রাখুন।

২) এ বার বড় একটি পাত্রে জল গরম করতে দিন। এর মধ্যে কেটে রাখা বিটগুলি দিয়ে দিন।

৩) ফোটানোর প্রয়োজন নেই। তাই আঁচ একেবারে কমিয়ে রাখুন।

৪) এ বার ওই মিশ্রণে দিয়ে দিন নুন, সামান্য পিষে নেওয়া রাই সর্ষে এবং কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো। যদি খুব ঝাল খেতে না চান, তা হলে লঙ্কাগুঁড়োর বদলে গোলমরিচের গুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন।

৫) সব উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে চিনামাটির পাত্রে ঢেলে নিন।

৬) এ বার পাত্রের মুখ বন্ধ করে দিন। তিন থেকে চার দিন পর্যন্ত ওই পাত্রটি রোদে রেখে দিন।

৭) তিন-চার দিন পর এক বার খুলে স্বাদ চেখে নিতে পারেন। সব ঠিক থাকলে আরও একটা দিন ওই অবস্থায় রেখে দিন।

৮) পঞ্চম দিন থেকে এই পানীয় খাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠবে। প্রথম বার অনেকটা না করে সামান্য পরিমাণে তৈরি করুন। উপযুক্ত হলে পরে আবার তৈরি করতে পারেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement