সকালের কোন অভ্যাসে জব্দ হবে কোলেস্টেরল? ছবি: শাটারস্টক
রান্নায় স্বাদ বাড়াতে ফোড়নে তেজপাতা দিতেই হয়। বিরিয়ানি, পোলাও, পায়েস, ডাল, মাছ, মাংস, হালুয়া— যে কোনও পদেই তেজপাতা না দিলে স্বাদ জমে না। তবে কেবল রান্নায় স্বাদ বাড়ানোই নয়, তেজপাতার স্বাস্থ্যগুণও অনেক। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এ, সি, আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান। তা শরীরের নানা রোগব্যাধি দূর করতে পারে। তেজপাতার ঔষধি গুণের জন্য আয়ুর্বেদশাস্ত্রে রান্নায় এর ব্যবহারের পাশাপাশি তেজপাতার চা খাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়।
কী গুণ রয়েছে তেজপাতার চায়ের?
১) ঘরে ঘরে এখন ডায়াবিটিসের রোগী। নিয়মিত তেজপাতার খেলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। টাইপ ২ ডায়াবিটিসের জন্য তেজপাতা খুবই কার্যকর।
২) শরীর থেকে টক্সিন পদার্থ বার করে দেওয়ার নেপথ্যেও তেজপাতার। তাই রক্ত পরিশুদ্ধ করতে এই চা খেতেই পারেন।
৩) খাবার হজম করার উৎসেচক ক্ষরণে তেজপাতা বেশ কাজে আসে। দ্রুত খাবার হজম করে তেজপাতার রস। ফলে যাঁরা অন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা নিয়মিত তেজপাতার চা খেতেই পারেন।
৪) তেজপাতায় রুটিন ও ক্যাফেক অ্যাসিড থাকে বলে হৃদ্যন্ত্রকে সুস্থ রাখে তেজপাতার চা। রুটিন অ্যাসিড হৃদ্যন্ত্রের রক্তনালিগুলিকে শক্তিশালী করে আর ক্যাফিক অ্যাসিড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
৫) তেজপাতায় অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল ও মাইক্রোব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকায় এটি ক্ষত সারাতে দারুণ ভাবে কাজ করে। সর্দি-কাশির সময় এই চা খেলে যথেষ্ট আরাম পাওয়া যায়।
কী ভাবে বানাবেন তেজপাতার চা?
একটি পাত্রে জল গরম করে তাতে চারটি তেজপাতা ও সামান্য দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে মিনিট পাঁচেক ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এ বার একটি কাপে ছেঁকে নিয়ে তাতে লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করুন।