Coconut Oil on Belly Button

নারকেল তেলের গুণেই ত্বকে আসবে জেল্লা, উদ্বেগও বশে থাকবে! কিন্তু কোথায় মাখলে উপকার পাবেন?

নাভিতে তেল দেওয়ার এই অভ্যাস তো অতি প্রাচীন। এখনও নাভিতে সর্ষের তেল দিয়ে স্নান করতে যান অনেকে। আসলে, নাভির সঙ্গে গোটা শরীরের শিরা-উপশিরার যোগ রয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৪০
Coconut Oil

কোথায় নারকেল তেল মাখলে উপকার মিলবে? ছবি: সংগৃহীত।

চুলের জন্য নারকেল তেল ভাল। ত্বকের জেল্লা ফেরাতে অনেকে গায়েও এই তেল মালিশ করেন। কিন্তু শরীরের অভ্যন্তরে কোনও সমস্যা হলে কোথায় তেল মাখবেন? অভিজ্ঞেরা বলছেন, নিয়ম করে রোজ নাভিতে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল দিলে অনেক রোগই বশে রাখা যাবে।

Advertisement

নাভিতে তেল দেওয়ার এই অভ্যাস অতি প্রাচীন। এখনও স্নানের আগে নাভিতে সর্ষের তেল দেন অনেকেই। আসলে, নাভির সঙ্গে গোটা শরীরের শিরা-উপশিরার যোগ রয়েছে। গর্ভস্থ থাকাকালীন, অর্থাৎ ভ্রূণ অবস্থায় মায়ের শরীর থেকে পুষ্টি পৌঁছয় এই অঙ্গের মাধ্যমে। তবে শুধু ভ্রূণের জন্য নয়, সাধারণ ভাবেই এটি শরীরের অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। নাভিতে তেল মালিশ করার গুরুত্ব আয়ুর্বেদেও বলা আছে।

নাভিতে সর্ষের তেল, ঘি দেওয়ার চল থাকলেও এ ক্ষেত্রে নারকেল ব্যবহারের উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে। কারণ, প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ছাড়াও অনেক রকম উপাদান রয়েছে নারকেল তেলে। যেগুলি ত্বক, চুলেরও যত্ন নেয়। আবার, মানসিক প্রশান্তি কিংবা হরমোনজনিত সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।

নাভিতে নারকেল তেল দিলে কী কী উপকার মেলে?

১) ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখে এই অভ্যাস। অনেকেই জানেন, নাভির সঙ্গে গোটা শরীরের যোগ রয়েছে। তাই নাভির চারপাশ তেল দিয়ে মালিশ করলেও রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়।

২) হরমোনের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এই প্রাচীন অভ্যাস। জরায়ুতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে, পেশির প্রদাহজনিত ব্যথা কমায়। ঋতুস্রাব চলাকালীন নাভিতে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল দিলেও আরাম মেলে।

৩) নাভিতে তেল দিলে রক্ত চলাচল ভাল হয়। শরীরে জমে থাকা টক্সিন বার করাও সহজ হয়। মরসুম বদলের ঠান্ডা লাগা, জ্বর-সর্দি থেকেও মুক্তি দিতে পারে এই টোটকা। সংক্রমণ-জনিত রোগবালাই দূরে রাখে।

৪) নাভিতে তেল দিলে মানসিক চাপ, উদ্বেগ কমে। তেল শরীরের প্যারাসিম্প্যাথেটিক স্নায়ুর কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৫) নাভিতে তেল মালিশ করলে পেটে রক্ত চলাচলের পরিমাণ বাড়ে। ফলে হজমক্ষমতা বাড়ে। যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাঁদেরও উপকার হয়।

আরও পড়ুন
Advertisement