Mobile Phone Using Tips

সকালে চোখ খুলেই হাতে তুলে নেন মোবাইল? কোন বিপদের মুখোমুখি হতে চলেছেন জানেন?

ঘুমের ঘোর কাটতে সময় নেয়। বেশ অনেক ক্ষণ ঘুম লেগে থাকে চোখে। সেই নিদ্রাচ্ছন্ন চোখে যদি হঠাৎ করে মোবাইলের নীল আলো এসে পড়ে, তা হলে তা চোখের জন‍্য ক্ষতিকর।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:২১
ঘুম চোখে মোবাইল দেখেন?

ঘুম চোখে মোবাইল দেখেন? ছবি: সংগৃহীত।

ঘুম ভেঙে সবে চোখ খুলেছেন। হাত আপনা থেকেই চলে গেল বালিশের পাশে থাকা ফোনের কাছে। মোবাইলটি হাতে নিয়ে শুরু হয় হোয়াট্‌সঅ‍্যাপ, মেসেঞ্জার, ফেসবুক,ইমেলে ঢুঁ দেওয়ার পালা। ঘুম ভাঙার পর বেশ অনেকটা সময় এ ভাবেই কেটে যায়। প্রায় সিংহভাগের এটাই রোজের রুটিন। বিভিন্ন গবেষণা জানাচ্ছে, ঘুম থেকে উঠেই মোবাইল ঘাঁটার অভ‍্যাস চোখের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ঘুম ভেঙে গিয়েছে মানেই আপনি সজাগ, তা কিন্তু নয়। ঘুমের ঘোর কাটতে সময় নেয়। বেশ অনেক ক্ষণ ঘুম লেগে থাকে চোখে। সেই নিদ্রাচ্ছন্ন চোখে যদি হঠাৎ করে মোবাইলের নীল আলো এসে পড়ে, তা হলে তা চোখের জন‍্য ক্ষতিকর।

Advertisement

ভবিষ‍্যতে চোখের ব‍্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তবে ভবিষ‍্যতের জন‍্য অপেক্ষা করার দরকার নেই। এই অভ‍্যাসের ফলে ‘ড্রাই আইজ’-এর সমস‍্যা ক্রমশ বাড়ছে। ছোট থেকে বড় সকলেই এই রোগের শিকার। যত সময় যাচ্ছে সমস‍্যা তত ছড়াচ্ছে। প্রতিরোধ করার কি কোনও উপায় রয়েছে? চক্ষু চিকিৎসক শান্তনু মণ্ডল বলেন, ‘‘অভ‍্যাসে রাশ টানা ছাড়া এই সমস‍্যা প্রতিরোধের কোনও উপায় নেই। মোবাইলের ব‍্যবহার কমাতে হবে। তা হলেই চোখ সুরক্ষিত থাকবে। পাশাপাশি এটাও ঠিক যে প্রযুক্তিনির্ভর জীবনে সব ক্ষেত্রে যন্ত্রের ব‍্যবহার করতেই হয়। এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। সে ক্ষেত্রে মাঝেমাঝে চোখের বিশ্রাম নিতে হবে। ড্রপ ব‍্যবহার করতে হবে।’’ সাম্প্রতিক বেশ কিছু গবেষণা বলছে, শুধু চোখ নয়, ঘুম ভাঙার পর মোবাইল দেখার অভ‍্যাসে মানসকি স্বাস্থ‍্য বিঘ্নিত হয়। মানসিক অস্থিরতাও দেখা দেয়।

চোখের ক্ষতির সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঘাত ঘটে কাজেরও। সকালে উঠেই যদি আপনি আপনার সারা দিনের কাজের তালিকা নিয়ে ভাবতে থাকেন, অথবা নেটমাধ্যমে আপনার চারপাশের মানুষের কার্যকলাপের খবর পেতে থাকেন, এতে আপনার মানসিক স্থিতি কমতে থাকে। এই খবরগুলি আপনার অস্থিরতা বাড়িয়ে দেয়। কোনও কাজের প্রতি মন দিতে দেয় না। খুব সমস্যা না থাকলে রাতে ফোনটি বন্ধ করে রাখতে পারেন। সকালে উঠে পরিষ্কার হয়ে, ধীরেসুস্থে তার পরে ফোন ধরুন। এতে আপনার শরীর এবং মন দুই-ই সুস্থ থাকবে।

আরও পড়ুন
Advertisement