aspirin

Side effects of aspirin: অ্যাসপিরিনে কাবু হয় হৃদ্‌রোগও! কাদের ক্ষেত্রে এই দাওয়াই হতে পারে ক্ষতিকারক

গবেষণা বলছে, অ্যাসপিরিন-জাতীয় ওষুধ কেবল জ্বর কিংবা ব্যথা নিরাময় করে না, নানা হৃদ্‌রোগের ক্ষেত্রেও এই ওষুধ উপকারী। কিন্তু কতটা খাওয়া নিরাপদ?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২২ ১১:২৪
অ্যাসপিরিন খেলে রক্তের ঘনত্ব অনেকটাই কমে যায়।

অ্যাসপিরিন খেলে রক্তের ঘনত্ব অনেকটাই কমে যায়। ছবি: সংগৃহীত

হার্ট অ্যাটাক। কথাটা শুনলেই মনে জন্ম নেয় আতঙ্ক। নিশ্বাসের কষ্ট, বুকে পাথর চাপিয়ে দেওয়ার মতো ভারী ভাব, দরদর করে ঘাম, বুকের ব্যথা ক্রমশ হাত, কাঁধে ছড়িয়ে পড়া— এই ধরনের লক্ষণ শুরু হলে রোগীকে অ্যাসপিরিন-জাতীয় ওষুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে. অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ কেবল জ্বর কিংবা ব্যথা নিরাময় করে না, কার্ডিওভাসকুলার রোগের ক্ষেত্রেও এই ওষুধ উপকারী।

মূলত হৃদ্‌যন্ত্রে বা মাথার ধমনীগুলিতে রক্ত জমাট বাঁধার কারণেই স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। অ্যাসপিরিন খেলে রক্ত পাতলা হয়ে যায়। তাই কার্ডিওভাসকুলার রোগের ক্ষেত্রে এই ওষুধ দারুণ উপকারী— এমনটাই মনে করা হয়।

Advertisement
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

তবে যাঁদের হৃদ্‌যন্ত্রজনিত কোনও সমস্যা নেই, তাঁদের ক্ষেত্রে ঘন ঘন অ্যাসপিরিন-জাতীয় ওষুধ না খাওয়াই ভাল। অ্যাসপিরিন খেলে রক্তের ঘনত্ব অনেকটাই কমে যায়, তাই পাকস্থলী ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। যাঁদের আলসারের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই রক্তক্ষরণ শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। ষাট বছরের বেশি বয়সিদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ মোটেই ভাল লক্ষণ নয়। তাই এই সব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যাসপিরিন ওষুধ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এ ছাড়া হিমোফিলিয়া, হাঁপানি, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, কিডনি বা লিভারের রোগে আক্রান্ত এমন রোগীদের ক্ষেত্রেও অ্যাসপিরিন এড়িয়ে চলাই ভাল।

বছরে এক দু’বার জ্বর কিংবা কোনও আঘাত লাগার কারণে অসহ্য ব্যথা হলে আপনি অ্যাসপিরিন-জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন। তবে যে কোনও ব্যথা হলেই মুড়ি-মু়ড়কির মতো অ্যাসপিরিন কখনই খাওয়া উচিত নয়। এর ফলে আলসার, বমি বমি ভাব, কিডনির রোগ, পাইলসের সমস্যা, বদহজমের সমস্যা— ইত্যদি নানা ধরনের রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement