প্রতীকী ছবি।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ইচ্ছা তো থাকেই। সেই মতো খাদ্যতালিকা সাজানোর চেষ্টাও হয়। তাতে রাখা হয় নানা ধরনের ফল। শীত আসছে, তাই কমলালেবু, আপেলের মতো ফল বেশি করেই রাখা হচ্ছে খাদ্যতালিকায়। কিন্তু কোন ফল স্বাস্থ্যের জন্য বেশি কাজের, সে দিকেও তো নজর রাখতে হবে।
অনেকেই বলবেন, আপেল আর কমলালেবুর মধ্যে তুলনা করা যায় না। কিন্তু সে কথা ঠিক নয় বলেই মনে করেন পুষ্টিবিদরা। দু’টি ফলের আলাদা ধরনের খাদ্যগুণ রয়েছে। ইংরেজিতে একটি কথা আছে যে, দিনে একটি করে আপেল খেলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
কিন্তু এই কথাটি কি কমলালেবুর জন্য আরও বেশি খাটে? বহু পুষ্টিবিদ তেমনটাই মনে করেন। কারণ কমলালেবুতে থাকে ভিটামিন সি, কে, এ। এ ছাড়াও থাকে ফলিক অ্যাসিড এবং ক্যালশিয়াম। এই সব উপাদানের গুণে কমলালেবু অনেক সহজে যে কারও স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে পারে। ক্রনিক রোগ দূরে রাখতে পারে। কমাতে পারে কম বয়সে মৃত্যুর আশঙ্কা।
তবে কোনও একটি ফলের উপর নির্ভর করে থাকার পক্ষে নন পুষ্টিবিদরা। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে তাই বলা হচ্ছে, বিভিন্ন ধরনের ফল নিয়মিত খাওয়া জরুরি। তার মাধ্যমেই খাদ্যের নানা উপাদান পাবে শরীর। আপেলে যেমন অনেক বেশি পরিমাণ ফাইবার থাকে। সঙ্গে থাকে ম্যাঙ্গানিজও। এই দুই উপাদানের প্রভাবে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। ওজন কমতেও সাহায্য হয়।
তা হলে কোন ফলটি বেশি স্বাস্থ্যকর বলে মেনে নিতে হবে? পুষ্টিবিদদের একটিই বক্তব্য, কোনও কিছুই সেরা নয়। এমন ভেবে নেওয়ার কারণ নেই যে একটি করে আপেল খাচ্ছেন মানে আর কমলালেবু খাওয়ার প্রয়োজন নেই। আপেল এবং কমলালেবু দু’টিই স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।