মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে সঠিক খাদ্যাভ্যাস। ছবি: সংগৃহীত
মানসিক অসুস্থতার অন্যতম প্রধান কারণ মানসিক উদ্বেগ। পরিসংখ্যান অনুসারে গোটা বিশ্বে প্রায় ২৭ কোটি মানুষ মানসিক উদ্বেগজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। বিভিন্ন রকমের ভয় থেকে মেলামেশার সমস্যা, মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ একাধিক।
মানসিক সমস্যা মোকাবেলায় অনেকক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয় ওষুধ পত্রের। তবে অনেক ক্ষেত্রে একাধিক স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস তেমনই একটি পদ্ধতি। বিশেষজ্ঞদের মতে কোন কোন খাবারগুলি মুক্তি দিতে পারে মানসিক উদ্বেগ থেকে জেনে নিন।
১। হলুদ
হলুদে থাকে কারকিউমিন। মানসিক উদ্বেগ কমাতে ও মস্তিষ্কের পুষ্টিতে এর ভূমিকা বহুবিধ। এ ছাড়া কারকিউমিন বৃদ্ধি করে আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড, যা ডিএইচএ-এর ক্ষরণ ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। একটি সমীক্ষা অনুসারে আট সপ্তাহ অল্প পরিমাণ হলুদ খেলে কমতে পারে মানসিক উদ্বেগ।
২। ডার্ক চকোলেট
ডার্ক চকোলেটের একটি উপাদান হল ফ্যাভোনল। এপিক্যাটেকিন ও ক্যাটেকিনের মতো উপাদানগুলি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। বেশ কিছু গবেষণা বলছে, এই উপাদানগুলি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে। রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে মস্তিষ্কের কোষে। স্নায়ুকোষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতেও এর ভূমিকা রয়েছে বলে জানা যায়। তবে ডার্ক চকলেট খাওয়ার ক্ষেত্রে যে মাথায় থাকে পরিমিতি বোধ।
৩। দই
প্রোবায়োটিক যুক্ত দইতে প্রদাহ কমে। স্নায়ু সংকেত স্বাভাবিক রাখতেও এর জুড়ি মেলা ভার। প্রোবায়োটিকে বাড়ে সেরোটোনিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে দু’বার করে ১২৫ গ্রাম দই এক মাস খেলে সহজ হয় অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ। যার ফলে কমে মানসিক উদ্বেগ।
৪। গ্রিন টি
গ্রিন টি-তে থাকে এল-থিয়েনিন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ও দুশ্চিন্তা কমাতে এটি অত্যন্ত উপযোগী। গবেষকদের মতে গ্রিন টি-তে কমে স্ট্রেস হরমোন করটিসল। স্নায়ুর উত্তেজনা কমাতেও গ্রিন টি উপযোগী বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ডোপামিন, সেরোটোনিন ক্ষরণে সহায়তা করাই এর মূল কারণ।