মুখের ব্রণ শরীরের হাল বলে দেয়। ছবি: সংগৃহীত।
ত্বকের সঠিক যত্নের অভাব, অত্যধিক তেল-মশলাজাত খাবার খাওয়া, জল কম খাওয়ার মতো বিভিন্ন কারণে ত্বক ব্রণয় ভরে যায়। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে ব্রণের পরিমাণ বেড়ে যায়। বিভিন্ন বয়সের মানুষ ব্রণর সমস্যায় নাজেহাল। ব্রণ নিয়ে মেয়েদের ঝক্কি খানিক বেশি হলেও, ছেলেরাও কম ভোগেন না। আর ব্রণ যখন-তখন জেগে ওঠে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মুখের যে অংশ ব্রণহীন ছিল, ঘুম থেকে উঠে দেখলে সেখানেই ব্রণ উঠেছে। অথচ ব্রণের ভয়ে কিছু দিন যাবৎ বাইরের খাবার খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তা হলে হঠাৎ এই ভোগান্তি কেন? মুখের বিভিন্ন অংশে ব্রণ হওয়ার আলাদা আলাদা কারণ রয়েছে। বিষয়টি কী?
নাকে ব্রণ
তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি তেলতেলে থাকে নাক। তাই নাকে ব্রণ হওয়ার কারণ সেটাই ধরে নেওয়া হয়। সেটাই একমাত্র কারণ নয়। লিভারে কোনও সমস্যা থাকলে এমন হতে পারে। আবার উচ্চ রক্তচাপ থাকলেও নাকে ব্রণ হয়।
গলা
অনেকের গলাতেও ব্রণ হয়। গলায় ব্রণ হওয়ার কারণ হল হরমোনজনিত সমস্যা। হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে গলায় ব্রণ ভরে যায়। উদ্বেগ থেকেও এমন হতে পারে। কোনও কারণে অত্যধিক চিন্তা করলে গলায় ব্রণ হয়।
থুতনি
থুতনিতেও অনেকের ব্রণ হয়। হরমোন ক্ষরণ এবং নিঃসরণে ভারসাম্য না থাকা, অনিয়মিত ঋতুস্রাব থুতনিতে ব্রণ হওয়ার নেপথ্য কারণ হতে পারে। এ ছাড়া, হজমের গোলমাল থাকলেও থুতনিতে ব্রণ হয়। হরমোনাল থেরাপি করালে এবং ত্বকের সঠিক যত্ন নিলে এ সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়।
চোয়াল
হজমের গোলমাল থাকলে, হরমোনজনিত কোনও সমস্যা হলে কিংবা অনিয়মিত ঋতুস্রাবের কারণেও চোয়ালে ব্রণ হয়। অনেক সময়ে আঁটসাঁট পোশাক পরলেও চোয়ালে ব্রণ হয়। আবার জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধ খেলেও চোয়ালে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।