এই ব্যথার কারণ কী? ছবি: সংগৃহীত।
যন্ত্র ছাড়া জীবন অচল। অফিসের কাজ, বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, বাড়ির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা, মনের মানুষের সঙ্গে কথোপকথন, সিনেমা দেখা এবং আরও কত কী! এ তালিকা অতি দীর্ঘ। প্রতিটি কাজেই সঙ্গী হয় মোবাইল ফোন অথবা ল্যাপটপ। বাসে-ট্রেনে-ট্রামে, ঘরোয়া আড্ডায় সর্ব ক্ষণ ঘাড় গুঁজে মোবাইলের পর্দায় তাকিয়ে থাকা যেন জীবনচর্চায় পরিণত হয়েছে। তার হাত ধরেই নতুন অসুখ হানা দিচ্ছে। চিকিৎসাবিজ্ঞান যার নাম দিয়েছে ‘টেক নেক’। এই অসুখে মেরুদণ্ড চিরতরে বেঁকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, ঘাড়-গলার হাড় ও স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে তা চিরতরে ঝুঁকিয়ে দিতেও পারে। এই অসুখ এত দ্রুত দেশের সব প্রান্তেই কম-বেশি ছড়িয়ে পড়ছে যে, এখনই সাবধান না হলে এই অসুখ পঙ্গুত্বও ডেকে আনবে বলে মত চিকিৎসকমহলের।
এই রোগের লক্ষণগুলি কী?
ঘাড়ের নীচে এবং উপরের অংশে ব্যথা এবং অস্বস্তি।
মাথা ঘোরা, দুর্বলতা।
ঘাড়ের পেশির নমনীয়তা কমে যাওয়া, ঘাড় ঘোরাতে সমস্যা হওয়া।
ভার্টিগো, বমি বমি ভাব।
নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে কোন বিষয়গুলি মেনে চলবেন?
১) মোবাইলে মেসেজ করার পরিমাণ কমাতে হবে। প্রয়োজনে ফোনে কথা বলুন।
২) মোবাইল কেনার সময়ে লক্ষ রাখবেন মোবাইলটি যেন খুব ভারী না হয়। ভারী মোবাইল হাতে থাকলে পেশির উপর বেশি চাপ পড়ে। তাই কেনার আগে মোবাইলের ক্যামেরা, মেমোরির পাশাপাশি গ্যাজেটের ওজনের দিকেও নজর রাখতে হবে।
৩) একটি মোবাইল স্ট্যান্ড কিনতে পারেন। তার উপর মোবাইটি রেখে ব্যবহার করলে সমস্যা কম হবে।
৪) ফোন ব্যবহারের সময়ে ঘাড় নিচু বা বাঁকা করে না তাকিয়ে বরং ঘাড় সোজা রেখে ফোনটা চোখ বরাবর নিয়ে আসুন। এতে মাথা ও ঘাড়ের উপর চাপ কম পড়বে।
৫) কয়েকটি ‘ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ়’ করতে পারেন। সর্বোপরি মেরুদণ্ডের সংলগ্ন পেশি সচল রাখতে নিয়ম করে কিছু যোগাসন করতেই হবে। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে শরীরচর্চা না করে উপায় নেই।