Periods

হঠাৎ করেই পরিমাণে বেশি ঋতুস্রাব হচ্ছে? আপনি ‘মেনোরেজিয়ায়’ ভুগছেন না তো?

সাধারণত প্রতিটি ঋতুচক্রে গড়ে ৩০-৪০ মিলিলিটার রক্ত বেরোয়। কিন্তু এর বেশি পরিমাণে রক্ত বেরোলে তা চিন্তার। বেশি ঋতুস্রাব হওয়ার নেপথ্যে কী কারণ থাকতে পারে?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:৪৬
Symbolic Image of Periods Situation

অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হলে রোগী ক্রমশ ক্লান্ত হয়ে পড়েন। প্রতীকী ছবি।

অনিয়মিত ঋতুস্রাব খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। ভুক্তভোগী অনেকই মহিলাই। পাশাপাশি অতিরিক্ত ঋতুস্রাবও কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যা। এমনিতে ঋতুস্রাব হলে স্বাভাবিক চলাফেরায় একটা বাধা আসে। তার উপর ঋতুস্রাবের পরিমাণ যদি অতিরিক্ত হয়, সে ক্ষেত্রে সমস্যা আরও আকার নেয়।

দেশের ১৫-৪৪ বছর বয়সের মহিলাদের ১০০ জনের মধ্যে ১৬ জন ‘মেনোরেজিয়া’ অর্থাৎ অতিরিক্ত ঋতুস্রাবের সমস্যায় ভোগেন। এ বার প্রশ্ন হল কী ভাবে বোঝা সম্ভব যে ঋতুস্রাব অতিরিক্ত হচ্ছে? চিকিৎসকদের মতে, সাধারণত প্রতিটি ঋতুচক্রে গড়ে ৩০-৪০ মিলিলিটার রক্ত বেরোয়। কিন্তু যখন ৮০ মিলিলিটার বা তার বেশি রক্তপাত হয় তখনই তাকে অতিরিক্ত ঋতুস্রাব কিংবা ‘হেভি মেনস্ট্রুয়াল ব্লিডিং’ বলা হয়। এ ক্ষেত্রে ঋতুকালীন অবস্থা ৪ দিনের বেশি আবার কারও ক্ষেত্রে ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। সাধারণ ক্ষেত্রে ঋতুচক্র হয় ২৮ দিন পর এবং ৩-৫ দিন স্থায়ী হয়। ৪৫ বছর বয়সের পর ঋতুস্রাবের মাত্রা কমে যায়। কিন্তু ৫০ পেরিয়েও যদি অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হয়, সে ক্ষেত্রে মারাত্মক কোনও অসুখের লক্ষণ হতে পারে।

Advertisement
Symbolic Image of Periods Situation.

অনেক সময় ক্যানসারের কারণে এবং রক্তের অসুখের জন্যেও অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হয়। প্রতীকী ছবি।

অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হলে রোগী ক্রমশ ক্লান্ত হয়ে পড়েন। অ্যানিমিয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে, অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে ওঠেন, শ্বাসকষ্ট হয়। ঋতু শুরুর সময় এবং মেনোপজের সময় ভারী ঋতুস্রাবের প্রবণতা বাড়ে। এ ছাড়া ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন এবং থাইরয়েড হরমোনের তারতম্যের জন্যেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়।

এন্ডোমেট্রিওসিস, টিউমার এবং কিছু ক্যানসারের কারণে অতিরিক্ত ঋতুস্রাব ও তলপেটে ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় ক্যানসারের কারণে এবং রক্তের অসুখের জন্যেও অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হয়। ভারী ঋতুস্রাবের সঙ্গে মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার একটা সম্পর্ক আছে। এখন এই সমস্যা তাই আরও বেড়েছে। যাঁরা চাকরি করেন বা নিজেদের পেশা নিয়ে ব্যস্ত, তাঁদের শরীর ও মনের চাপ তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই বেশি। আসলে অতিরিক্ত মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, কথায় কথায় ওষুধ খাওয়া সর্বোপরি রোজকার জীবনযাত্রার ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে মেয়েদের শরীরের নানা হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তার ফলেই দেখা দেয় নানা সমস্যা। প্রতি মাসেই যদি অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হতে থাকে, তা হলে তা অবহেলা করা ঠিক নয়। অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ এর হাত ধরেই আরও অনেক কঠিন রোগের জন্ম হতে পারে।

আরও পড়ুন
Advertisement